বাংলা

এশিয়া ও প্যাসিফিকের অভিন্ন ভাগ্যের সমাজ গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করছে চীন: সিএমজি সম্পাদকীয়

cmgPublished: 2022-11-21 19:35:15
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ২১: এপেকের ২৯তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন গত শনিবার থাইল্যান্ডে শেষ হয়েছে। সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অভিন্ন ভাগ্যের সমাজ গড়ে তোলা ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণ নিয়ে ধারাবাহিক প্রস্তাব পেশ করেছেন। সম্মেলনে গৃহীত দলিলপত্রে চীনা প্রস্তাবের প্রতিফলন হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মনে করছে, সি চিন পিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য সারা বিশ্বে এশীয় ধারণা সরবরাহ করেছে এবং বিভিন্ন পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছে চীন। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব মন্তব্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এপেক হল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি প্ল্যাটফর্ম। এবারের সম্মেলনে সি চিন পিং নতুন পরিস্থিতিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অভিন্ন সমৃদ্ধি, পরিষ্কার ও সুন্দর এবং একে অপরের জন্য সহায়ক এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অভিন্ন ভাগ্যের সম্প্রদায় গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন। তিনি সত্যিকারের বহুপক্ষবাদ বজায় রাখা, বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক ব্যবস্থার সংরক্ষণ এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিক সহযোগিতা বজায় রাখার প্রস্তাব করেন। চীন বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ অব্যাহত রাখবে এবং উন্নয়নের সুযোগ শেয়ার করতে থাকবে। এটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সত্তাগুলোর আস্থা ও নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

এবারের সম্মেলনে চীন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্কের পাঁচ বছরের কর্ম-পরিকল্পনা স্বাক্ষর করেছে। দু’দেশের নেতারা ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ ও ইন্দোনেশিয়ার ‘গ্লোবাল ওশান’ পরিকল্পনাকে সংযুক্ত করার ঘোষণা করেছেন। দুই শীর্ষনেতা যৌথভাবে জাকার্তা-বান্দুং হাই-স্পিড রেলের পরীক্ষামূলক চলাচল প্রত্যক্ষ করেছেন। থাইল্যান্ডের সঙ্গে আরও স্থিতিশীল, আরও সমৃদ্ধ ও আরও টেকসই চীন-থাইল্যান্ড ভাগ্যের অভিন্ন সমাজ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে বেইজিং। চীন-থাইল্যান্ড রেলপথ নির্মাণ বেগবান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে চীনের উন্নয়নকে আলাদা করা যাবে না এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধিকে চীন থেকে আলাদা করা যাবে না। চীন যে ক্রমাগত আধুনিকায়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে-তা নিশ্চিতভাবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য আরও নতুন সুযোগ বয়ে আনবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn