শাংহাই আমদানি মেলাকে নিজেদের নতুন পণ্য প্রকাশের জন্য যেকারণে বাছাই করছেন ব্যবসায়ীরা
বাস্তবে চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা নিজেই একটি উদ্ভাবন, যা চীনের উদ্ভাবন-চালিত উন্নয়ন কৌশলের সাফল্যের সাক্ষী। বিশ্ব মেধাসত্ব সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, চীনের বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক ২০১২ সালের ৩৪তম থেকে ২০২২ সালে ১১তম স্থানে উঠে এসেছে। এর পেছনে রয়েছে চীনের ব্যবসায়িক পরিবেশের ক্রমাগত উন্নতি এবং উচ্চমানের উন্নয়নের ধারাবাহিক অগ্রগতি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীনের আধুনিকীকরণ অভিযানের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে উদ্ভাবনের মূল অবস্থানকে মেনে চলতে হবে। এটি সব ধরণের উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য একটি ভিত্তিস্বরূপ। টানা পাঁচ বছর ধরে মেলায় অংশগ্রহণ করা হানিওয়েলের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, তাঁর কোম্পানি অব্যাহতভাবে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রদর্শন করতে থাকবে এবং যৌথভাবে উচ্চ-উন্নয়নের জন্য আরও চীনা অংশীদারের সাথে সহযোগিতা করবে।
আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা হল চীনের জন্য উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণ প্রদর্শনের একটি জানালা। ৫ নভেম্বর প্রকাশিত "বিশ্ব উন্মুক্তকরণ প্রতিবেদন, ২০২২" অনুসারে, চীনের উন্মুক্ততা সূচক ২০১২ সালের ০.৭১০৭ থেকে ২০২০ সালে ০.৭৫০৭-এ উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে উন্মুক্ততায় চীন ৪৭তম থেকে ৩৯তম স্থানে উঠে এসেছে। সকল দেশের সকল পক্ষের সাথে চীনের উন্মুক্ততার সুযোগ ভাগ করার প্রতিশ্রুতি বিদেশী সংস্থাগুলোকে "আশ্বাস" দিয়েছে। টানা পাঁচ বছর আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ করা কোয়ালকমের চীনা শাখার সভাপতি মেং ফু জানান, যতদিন পর্যন্ত চীনের উন্মুক্তকরণের নীতি অপরিবর্তিত থাকবে, ততদিন বিদেশী কোম্পানিগুলো চীনে আরও ভালো করার সুযোগ পাবে।