বাংলা

চীনের ‘বেইতৌ’ সারা বিশ্বের হয়ে উঠেছে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2022-11-05 15:57:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ৫: ‘আমি নিশ্চিত যে, বেইতৌ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, বিশেষ করে বেইতৌ ব্যবস্থা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা প্রদান করতে পারে।’ সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে গ্লোবাল স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের আন্তর্জাতিক কমিটির ১৬তম সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানি প্রতিনিধি তাতে এ মূল্যায়ন করেছেন।

গত ৪ নভেম্বর চীনের প্রকাশিত ‘নতুন যুগে চীনের বেইতৌ’ শীর্ষক শ্বেতপত্র এই বিষয়টিকে পুরোপুরি প্রমাণ করেছে।

প্রায় ১২ হাজার শব্দের এই শ্বেতপত্রে সার্বিকভাবে চীনের বেইতৌ উন্নয়নের অতীত পর্যালোচনা করা হয়। নতুন যুগে প্রবেশের পর বেইতৌ ব্যবস্থার সরবরাহের নতুন দক্ষতা, শিল্পের নতুন উন্নয়নের বাস্তবায়ন, উন্মুক্ত নতুন প্যাটার্নের নির্মাণ এবং ভবিষ্যতের নতুন যাত্রার সূচনা ফুটে উঠেছে শ্বেতপত্রে।

১৯৯৪ সালে চীন একটি স্বাধীন স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম তৈরি করতে শুরু করে এবং ‘তিন ধাপে’র উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করে। এরপর বেইতৌ এক থেকে বেইতৌ তিন পর্যন্ত, বেইতৌ ব্যবস্থা ধাপে ধাপে বিকশিত হচ্ছে এবং উন্নত প্রযুক্তি, নেতৃস্থানীয় নকশা এবং শক্তিশালী ফাংশনসহ একটি বিশ্বমানের গ্লোবাল স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম হয়ে উঠে।

গত দশ বছরে বেইতৌ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান বেইতৌ তিন নম্বর ব্যবস্থা, মার্কিন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস), রাশিয়ার ‘গ্লোনাস’ গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং ইউরোপীয় গ্যালিলিও স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের তিনটি বিশ্বব্যাপী পরিষেবা প্রদান করে, যেমন: পজিশনিং ও নেভিগেশন টাইমিং, আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং বিশ্বব্যাপী সংক্ষিপ্ত বার্তা যোগাযোগ।

লিলি/এনাম/শিশির

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn