চীন-পাকিস্তান ‘হার্ডকোর’ বন্ধুত্বে নতুন উপাদান যুক্ত হয়েছে: সিএমজি সম্পাদকীয়
নভেম্বর ৩: ‘চীন ও পাকিস্তান হলো পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, অংশীদার ও ভাই।’ চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বুধবার) বেইজিংয়ে সফররত পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
সি চিন পিং বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতার মান উন্নত করতে, নতুন যুগে আরও ঘনিষ্ঠ দু’দেশের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলতে, এবং সার্বক্ষণিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্কে নতুন চালিকাশক্তি যুক্ত করতে ইচ্ছুক। শাহবাজ বলেন, দু’দেশের সার্বক্ষণিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক জোরদার করা হলো পাকিস্তানের কূটনীতির ভিত্তি।
এবারের সফরে সি চিন পিং পাকিস্তানকে দুর্যোগের পর পুনরুদ্ধারের জন্য অতিরিক্ত জরুরি সহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। শাহবাজ বলেন, কোনো দেশ চীনের মতো আন্তরিকতার সঙ্গে পাকিস্তান ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশকে সাহায্য করতে পারে না।
বর্তমানে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এটি পাকিস্তানের জন্য ১.৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানের দক্ষিণ এশিয়া ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক মেহমুদ উল হাসান খান সম্প্রতি বলেছেন, অবকাঠানো খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানের জিডিপি উল্লেখ্যযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ১১ লাখ পাক বাসিন্দাকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তির লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহায়ক।
বুধবার দু’দেশের প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দেশ উচ্চমানে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ নির্মাণ, বাণিজ্যিক বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ উন্নয়ন করবে। এ ছাড়া, দু’দেশ ই-কমার্স, ডিজিটাল অর্থনীতি, চীনে কৃষিপণ্য রপ্তানি, আর্থিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক অবশেষ সুরক্ষা, এবং অবকাঠামো সহযোগিতা খাতে একাধিক স্মারকলিপিও স্বাক্ষর করেছে।