জর্জ ফ্রয়েড ট্র্যাজেডির বারবার পুনরাবৃত্তি হলো যুক্তরাষ্ট্রের লজ্জা
অক্টোবর ৬: সম্প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে চীনা প্রতিনিধি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশের আইন প্রয়োগ বিভাগ সংখ্যালঘু জাতি গোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন প্রয়োগ করেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘ডারবান ঘোষণা’ বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেন চীনা প্রতিনিধি। যাতে জর্জ ফ্রয়েডের মতো দুঃখজনক ঘটনা আর না-ঘটে।
‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না!’ ২০২০ সালের মে মাসে অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্রয়েড পুলিশের সহিংসতার মুখে মৃত্যুর আগ মুহূর্তে এ-কথা বলেছিলেন। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছিল। তবে, মার্কিন সরকার এ বিষয়ে বেশি পর্যালোচনা করে নি। সংশ্লিষ্ট তথ্যে দেখা যায়, জর্জ ফ্রয়েডের ঘটনা এক বছর পর, গোটা যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের সহিংসতায় আর ২২৯জন আফ্রিকান মার্কিনী প্রাণ হারিয়েছে।
আফ্রিকান মার্কিনীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সহিংসতা যুক্তরাষ্ট্রে এত বেশি হওয়ার মৌলিক কারণ হলো মার্কিন সমাজের বর্ণবাদ। ইতিহাসের ‘দাস প্রথা’ থেকে এখন যুক্তরাষ্ট্রে ‘শ্বেতাঙ্গ অগ্রাধিকার’ চিন্তাধারা চলছে।
মার্কিন জনৈক বিশেষজ্ঞ বলেন, মার্কিনীরা মনে করেন, বিগত ৫০ বছরে, বর্ণবাদ সমস্যা সমাধান হয় নি। আসলে, আফ্রিকান মার্কিনী ছাড়া, এশিয়ান বা মুসলিম মার্কিনীদেরও নানা অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে এবং সহিংসতার হুমকি বাড়ছে।
এবার আয়োজিত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে, বিভিন্ন পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে নিজ দেশের পদ্ধতিগত বর্ণবাদ মোকাবিলা করার তাগিদ দিয়েছে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সমাজের সমালোচনা উপেক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে তার আচরণ ঠিক করে সার্বিকভাবে নিজের এ খাতের সমস্যা বিবেচনা করতে হবে ও সমস্যা দূর করতে হবে। মানবাধিকারের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আগে, তাকে প্রথমে নিজের সমস্যা সমাধান করতে হবে।