যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার ‘পরমাণু ষড়যন্ত্র’ সফল হবে না: সিআরআই সম্পাদকীয়
অস্ট্রেলিয়া ৩: সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র ৬৬তম অধিবেশন শেষ হয়েছে। অধিবেশনে চীনা প্রতিনিধি জানান, এতে পরমাণু সাবমেরিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা ‘বৈধ করার’ চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে তাদের খসড়া পরিকল্পনা অধিবেশনে পাস হয় নি। তাদের অপচেষ্টা অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে, যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া একযোগে পরমাণু সাবমেরিন সহযোগিতা ঘোষণা করেছে। এতে বিশ্বে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এক বছর ধরে তারা নানাভাবে পরমাণু সাবমেরিন সহযোগিতা শুরু করার জন্য কাজ করে আসছে। তবে, যত চেষ্টা করা হোক- তাদের অপচেষ্টা অবশ্যই সফল হবে না। কারণ, এটি অবৈধ, নীতির জন্য চ্যালেঞ্জ এবং মানুষ এর বিরোধিতা করে।
পশ্চিমারা মাঝে মাঝে ‘নীতির ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার’ কথা বলে থাকেন। তবে, তাদের আচরণ একেবারে উল্টা। যেমন তাদের পরমাণু সাবমেরিন সহযোগিতা ইতোমধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ সহযোগিতার পরিকল্পনা চালু হলে, আঞ্চলিক পরমাণু নিরাপত্তায় গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তা বৈশ্বিক পরমাণু বিস্তার রোধের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
মানবজাতি হলো একটি অবিচ্ছেদ্য নিরাপত্তা কমিউনিটি। একটি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব নির্মাণ করা এবং একযোগে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষা করা- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিন্ন ইচ্ছা। যা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার অবৈধ চুক্তি বাস্তবায়নের মৌলিক বাধা। বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রের দেশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র ‘বড় দেশের কৌশলগত প্রতিযোগিতা’ অনেক পছন্দ করে। দক্ষিণ আফ্রিকার ‘কূটনীতি’ নামের ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার পরমাণু সাবমেরিন সহযোগিতা অত্যন্ত বিপজ্জনক পদক্ষেপ। বাস্তবতার সামনে তারা তাদের স্বার্থপরতা আর লুকাতে পারছে না।’
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার দ্রুত পরমাণু বিস্তার-রোধ চুক্তিতে ফিরে আসা উচিত।