বাংলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশসমূহ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তরিকতা চায়: সিআরআই সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2022-10-01 18:55:02
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অক্টোবর ১: ২৮ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোর শীর্ষসম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের আয়োজন করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, এবারের শীর্ষসম্মেলনের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশসমূহের সম্পর্ক জোরদার করা। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশসমূহকে ৮১ কোটি ডলারের অতিরিক্ত সহায়তা দেবে। এ অর্থের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলা ও সামুদ্রিক অর্থনৈতিক খাতে দু’পক্ষের সহযোগিতা উন্নত হবে। জার্মান তথ্যমাধ্যমের একটি প্রবন্ধে বলা হয়, ওয়াশিংটন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশসমূহের নেতৃবৃন্দকে ‘লাল গালিচা ও মার্কিন ডলার’ প্রদান করেছে। এর মাধ্যমে ‘এ অঞ্চলে চীনের অব্যাহত উন্নতির প্রভাব প্রতিরোধ করা যাবে’।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশসমূহকে সহায়তা দিতে চায়। যা অবশ্যই ভাল ব্যাপার। তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো শুধু মৌখিক প্রতিশ্রুতি চায় না, সত্যিকার সাহায্য চায়। যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তা দিয়ে চীনের প্রভাব প্রতিরোধ করতে চায়। তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো তা চায় না।

যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোর উন্নয়নে সাহায্য করতে চায়, তাহলে প্রথমে তাদের কথা রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অনেকবার অন্য দেশকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তবে তা পূরণ করে নি।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে নিজের কাজ ঠিক করতে হবে। তারপর, সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোকে অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, তারা কারো অধীন নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার তাদের উন্নয়নে সাহায্য করতে চায়, তাহলে তাদের ইচ্ছাকে সম্মান করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক চাপ দেওয়া উচিত নয়।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn