পরমাণু দূষিত পানি সাগরে ফেললে জাপানকে আইনের আওতায় আনতে হবে: সিআরআই সম্পাদকীয়
জুলাই ২৩: জাপানের পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গতকাল (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ফুকুশিমার পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রের পরমাণু দূষিত পানি সাগরে ফেলার ব্যাপারে টোকিও বিদ্যুত কোম্পানির পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিয়েছে। এটি জাপানের একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ।
ফুকুশিমার পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রে এখন মোট ১২.৫ লাখ টন পরমাণু দূষিত পানি মজুত করা আছে। গবেষকরা জানান, তা যদি সাগরে ফেলা হয়, তাহলে ৫৭ দিনের মধ্যে তা প্রশান্ত মহাসাগরের অধিকাংশ অঞ্চলে সম্প্রসারিত হতে পারবে, এবং ১০ বছর পর তা গোটা বিশ্বের সবসাগরে ছড়িয়ে পড়বে। এজন্য গত বছরের এপ্রিল মাসে জাপান সরকার এ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আন্তর্জাতিক সমাজ ও জাপানি জনগণের বিরোধিতার মুখে পড়ে। কিন্তু জাপান এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি, বরং জাপানের কিছু রাজনীতিক তাকে উপেক্ষা করে আসছে।
গত বছর জাপান এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার সময়, তত্কালীন জাপানি অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এ পানি ‘পান করা যায়’। এখন তারা প্রকাশ্যে এ পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা মনে করে, ‘তা পরমাণু যুদ্ধ শুরু করার সমান’।
এটি কেবল জাপানের নিজ দেশের ব্যাপার নয়। নিজের টাকা খরচ কমানোর জন্য জাপান গোটা বিশ্বের ক্ষতি করছে। তা হচ্ছে একেবারে অনৈতিক ও দায়িত্বহীন। যদি জাপান এ পথে আরো এগিয়ে চলে, তাহলে আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত জাপানকে আইনের আওতায় আনা।