বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত চালানো উচিত: সিআরআই সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2022-06-17 17:03:51
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুন ১৭: জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫০তম অধিবেশনে কিউবা প্রায় ৭০টি দেশের পক্ষ থেকে একটি অভিন্ন বক্তব্য রেখেছে। তাতে মানবাধিকারের অজুহাতে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া, ২০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা পৃথকভাবে চীনের সমর্থনে ভাষণ দিয়েছেন।

তাতে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক সমাজ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহ, চীনের মানবাধিকারের অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানে। তারা ইতোমধ্যে মানবাধিকারের খাতে পশ্চিমা দেশসমূহের ভন্ডামি এবং "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" স্পষ্টভাবে জেনে গেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫০তম অধিবেশনে তাদের কার্যক্রম হচ্ছে পশ্চিমা দেশসমূহের ‘মানবাধিকারের অজুহাতে আধিপত্য বিস্তারের কর্মকাণ্ডে’ শক্তিশালি আঘাত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে “সবচেয়ে বড় কৌশলগত প্রতিপক্ষ” হিসেবে বিবেচনা করছে। এমন প্রেক্ষাপটে সিনচিয়াং, হংকং, তিব্বত ও তাইওয়নসহ নানা বিষয়ে পশ্চিমা রাজনীতিকরা সমস্যা সৃষ্টি করে চীনকে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করছে।

তবে, মিথ্যা হাজার বার বলার পরেও, তা সত্য হয় না। গত মে মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চীন সফর করেছেন। তিনি জানান, “চীন সফরকালে তত্বাবধানহীন ব্যাপক আদানপ্রদান চালানো হয়”। তা কিছু পশ্চিমা রাজনীতিকের নানা প্রশ্নের একটি শক্তিশালী উত্তর। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন যে, ‘সিনচিয়াংয়ে সমস্যা নেই, মিথ্যা সৃষ্টির লক্ষ্য হচ্ছে চীনকে অপবাদ ও চাপ দেয়া’।

তবে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় কালো হাত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মহামারী প্রতিরোধে ব্যর্থতায় এক মিলিয়নের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বর্ণ বৈষম্য ও বন্দুক সহিংসতা ঘন ঘন ঘটছে। তারা ঘন ঘন আগ্রাসী যুদ্ধ চালিয়েছে। তাতে কয়েক মিলিয়ন লোক প্রাণ হারিয়েছেন, কয়েক কোটি লোক গৃহহীন হয়েছেন। তাই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তদন্ত করা।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn