বাংলা

জেং কুও এনের "মিথ্যা রিপোর্ট" তার মাস্টারের আসল চেহারা প্রকাশ করেছে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2022-06-10 19:39:33
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুন ১০: যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘উইঘুর জোরপূর্বক শ্রম প্রতিরোধ অ্যাক্ট’-কে সামনে রেখে জেং কুও এন নামের সেই ‘পেশাদার জালিয়াত’ আবারও জনসম্মুখে হাজির হয়েছেন। তিনি একটি প্রতিবেদন লিখে দাবি করেছেন যে, চীন তথাকথিত জোরপূর্বক শ্রমের পরিধি ও স্কেল প্রসারিত করছে। অথচ তথাকথিত "জোরপূর্বক শ্রম প্রতিরোধ" বিলটি গুজবে পূর্ণ এবং তথাকথিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন এর আগে চীননীতি বিষয়ে তার বক্তৃতায় "প্রতিযোগিতা" শব্দটি গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছিলেন। একে কি ‘প্রতিযোগিতা’ বলা যায়?

৯ই জুন আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনচিয়াংয়ের ১০ জনেরও বেশি মানুষ ভিডিও-সংযোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের দৈনন্দিন জীবন "লাইভ সম্প্রচার" করেছে৷ প্রকৃতপক্ষে, চীনে সাবেক মার্কিন কূটনীতিক সম্প্রতি মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেছেন যে, "সিনচিয়াংয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমরা সবাই এটা সম্পর্কে অবগত। কিন্তু জোরপূর্বক শ্রম, গণহত্যা ও মানবাধিকার ইস্যুতে আক্রমণ করার জন্য সিনচিয়াংকে ব্যবহার করা একটি কার্যকর উপায়। এর সর্বশেষ লক্ষ্য হল, 'চীনা সরকারকে সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে দেওয়া’।”

গত বছরের শেষে, মার্কিন সরকার তথাকথিত "উইঘুর জোরপূর্বক শ্রম প্রতিরোধ অ্যাক্ট" গ্রহণ করে, যা এই বছরের ২১শে জুন কার্যকর হবে। বিলটিতে বলা হয়, সিনচিয়াংয়ে উত্পাদিত পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ হবে, যদি না এটা "স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে পণ্যগুলো জোরপূর্বক শ্রমের পণ্য নয়।" "মানবাধিকার" এর ছদ্মবেশে এই মিথ্যাভিত্তিক বিলটি আসলে সিনচিয়াংয়ের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকে অবরুদ্ধ করতে এবং স্থানীয় জনগণকে উন্নয়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এটিই মূলত সিনচিয়াংয়ের জনগণের মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস কালো দাসদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও বৈষম্যের শত শত বছরের ইতিহাস। যখন "জোরপূর্বক শ্রমের" প্রসঙ্গ আসে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিই অভিযোগের আঙুল উঠবে সবার আগে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn