মিথ্যা তথ্য প্রচার: চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হাস্যকর অভিযোগ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার বিভ্রান্তি বাড়াতে চীনের প্রচেষ্টা সম্পর্কে’ বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো গণমাধ্যমের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো কোনো মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা এবং সংবাদমাধ্যম ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়েছে। চীন বরাবরাই মার্কিন বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার শিকার।
মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যাচারের কথা বিশ্ব জানে। ইরাক যুদ্ধের ‘ওয়াশিং পাউডার’ থেকে সিরিয়ার যুদ্ধের ‘হোয়াইট হেলমেট’ পর্যন্ত, তারা উভয়ে ছিল একে অপরের প্রতারণামূলক সহযোগী। ইউক্রেন সংকটের পর তারা আবার একই কৌশল অবলম্বন করছে।
সম্প্রতি চীনা সংবাদমাধ্যমে ১৫ হাজার শব্দের দীর্ঘ নিবন্ধে ‘ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের চীন-সম্পর্কিত ভ্রান্তি’ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও এর সমমনাদের চীন-সম্পর্কিত ভুল ও মিথ্যা তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কে গুজব ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করছে? প্রতিটি নিরপেক্ষ ব্যক্তি এ প্রশ্নের উত্তর জানেন।
ইউক্রেনীয় সংকটের সুচনাকারী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইতোমধ্যেই ‘মিথ্যার সাম্রাজ্য’ নামে কুখ্যাতি পেয়েছে এবং বিশ্বের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। যতবারই দেশটি চীনকে দোষারোপ করবে, ততবারই নিজের আসল চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে নতুন করে উন্মোচিত করবে।