বাংলা

বিশ্বের বৃহত্তম অবাধ বাণিজ্যিক অঞ্চলের সম্ভাবনার কারণ জানিয়েছে সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2022-01-01 16:29:24
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জানুয়ারি ১: আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি বা আরসিইপি ২০২২ সালের প্রথম দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল, সবচে বড় আর্থ-বাণিজ্যিক পরিমাণ এবং সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল। আরসিইপি’র আওতায় বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ রয়েছে; যাদের জিডিপি বিশ্বের জিডিপি’র ৩০ শতাংশ। প্রথম দফায় আসিয়ানের ৬টি দেশ এবং চীন, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তা কার্যকর হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় পহেলা ফেব্রুয়ারি আরসিইপি কার্যকর হবে। বর্তমানে এই অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছে। শনিবার সিএমজি সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।

আরসিইপি কার্যকর হওয়ার পর এই অঞ্চলের ৯০ শতাংশেরও বেশি দ্রব্য ধাপে ধাপে শুল্ক-মুক্ত হবে। তা ছাড়া, আরসিইপি সেবা বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ, মেধাস্বত্ব ও ই-কমার্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়ম প্রণয়ন করবে। এটি পারস্পরিক কল্যাণকর সার্বিক, আধুনিক ও উচ্চ মানের আর্থ-বাণিজ্যিক চুক্তি। আসিয়ানের গণমাধ্যম জানায় যে, আরসিইপি হলো আঞ্চলিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এগিয়ে নেওয়ার চালিকাশক্তি।

আরসিইপি বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ বাস্তবায়নের নতুন মাইলফলক এবং এতে অব্যাহতভাবে উন্মুক্তকরণের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেখা গেছে। এটি কার্যকর হওয়ায় ব্যবস্থাগত উন্মুক্তকরণের পথে চীন আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং চীনের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দ্বৈতচক্রের সংযোগে পরিণত হবে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আরসিইপি’র কার্যকর হওয়ায় উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতা এবং অবাধ বাণিজ্যের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের তীব্র ইচ্ছাও প্রতিফলিত হয়।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীন দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষবাদে সমর্থন জানায়। আরসিইপি’র কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে ভবিষ্যতে চীন আরও ভালোভাবে বৃহত্ আকারের বাজারের সুবিধা ও দেশীয় চাহিদার সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলের অংশীদারদের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn