মহামারীকালে মার্কিন চিকিত্সাব্যবস্থার দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়েছে: সিএমজি সম্পাদকীয়-China Radio International
জানুয়ারি ১৭: মহামারীকালে মার্কিন চিকিত্সাব্যবস্থার দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়েছে। মানুষের জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে মুনাফা অর্জনই যে এই ব্যবস্থার সার কথা—তা এখন বোঝা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি চিকিত্সাবিমা ও সরকারি চিকিত্সাবিমা পাশাপাশি কার্যকর আছে। দেশটির ৫৩ শতাংশ মানুষ বেসরকারি চিকিত্সাবিমা এবং ৩৮ শতাংশ মানুষ সরকারি চিকিত্সাবিমার আওতায় আছে। বাকি ৯ শতাংশ মানুষের কোনো চিকিত্সাবিমা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সক, বিমা কোম্পানি, ওষুধ কারখানা ও চিকিত্সাবিমা সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও তীব্র।
মার্কিন জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সা খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশটির জিডিপি’র প্রায় ১৮ শতাংশ। এটি অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে অনেক বেশি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের গড় আয়ু অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার অন্য ২৫টি সদস্যদেশের নাগরিকদের তুলনায় কম।
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সাসেবার মূল্যও অনেক বেশি। ২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘আন্তর্জাতিক চিকিত্সামূল্য তুলনা রিপোর্ট’-এ বলা হয়, এপেন্ডেক্টোমি সার্জারি করাতে ব্রিটেনে খরচ হয় ৩০৫০ মার্কিন ডলার, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে খরচ হয় ১৩ হাজার মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সাব্যবস্থা প্রতিযোগিতার এক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ওয়ারেন বাফেট এ কথা বলেছেন। আসলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতই এর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। মার্কিন চিকিত্সাব্যবস্থার সংস্কারসাধনও দৃশ্যত অনেক কঠিন বলে মনে হচ্ছে। এর পিছনের কারণগুলো সহজেই বোঝা যায়।