নিষেধাজ্ঞা আরোপে আসক্ত মার্কিন রাজনীতিকরা অবশেষে কুফল ভোগ করবে: সিআরআই সম্পাদকীয়-China Radio International
ডিসেম্বর ২৪: কিছু মার্কিন রাজনীতিকের ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ মাত্রা আরো বেড়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপে আসক্ত হয়ে পড়া মার্কিন রাজনীতিকরা অবশেষে কুফল ভোগ করবে বলে মন্তব্য করেছে সিআরআই সম্পাদকীয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনা কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। চীনের ৫৮টি অর্থনৈতিক সত্তাকে প্রথমে তথাকথিত ‘সামরিক চূড়ান্ত ব্যবহারকারীদের তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং পরে মার্কিন সরকার চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
যদি কোনো দেশ অন্য দেশকে শুধু নিষেধাজ্ঞা দেয়- তাহলে কোনো সমস্যা সমাধান হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্দেশ্য হলো অন্য দেশকে দমন করা। তবে ফলাফল তার ইচ্ছামতো হয়নি। উদাহরণ হলো ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতি ও গণজীবিকায় ব্যাপক আঘাত হেনেছে। তবে, এর মধ্যেও ইরানি সমাজের উত্সাহ রোধ করা যায় নি। অন্যদিকে অন্য দেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ‘পাল্টা আঘাত’ পাবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র নানা অজুহাতে শত শত চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং চীনের উন্নয়নে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। হুয়াওয়েই কোম্পানি একটি উদাহরণ। হুয়াওয়েই’র সরবরাহ বন্ধ করার ফলে কয়েক সপ্তাহে একটি মার্কিন কোম্পানির ২০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়।
সুদূরপ্রাসারী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলা যায়, নিষেধাজ্ঞার পদ্ধতিতে আসক্ত হয়ে ওঠা মার্কিন রাজনীতিকরা ধাপে ধাপে নিজ দেশের মর্যাদা হ্রাস করছে বলে সিআরআই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়।
লিলি/তৌহিদ/জিনিয়া