চীন ও আজারবাইজানের মধ্যে সবুজ সহযোগিতার বিশাল ভবিষ্যত্
আজারবাইজানের বিরাট সবুজ জ্বালানি সুপ্তশক্তি বিশেষ করে, সৌরশক্তি ও বায়ু শক্তির উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির ২০৩০ সাল পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুত্ উত্পাদন পরিমাণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। দেশটির বার্ষিক সূর্যালোকের সময়কাল ২.৪ হাজার থেকে ৩.২ হাজার ঘন্টা। বায়ু সম্পদ সমৃদ্ধি, স্থল ও নৌ শর্ত উভয়ই টেকসই বিদ্যুত্ উত্পাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দেয়। দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক কোম্পানির সাথে সহযোগিতা করে, ২০৪০ সালের আগে ৭ গিগাওয়াট সামুদ্রিক বায়ু বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতায় পৌঁছার পরিকল্পনা করেছে।
স্থানীয় তথ্য মাধ্যম মনে করে, কপ-২৯ আয়োজনের অধিকার অর্জন করা অধিকতরভাবে দেশটির সবুজ জ্বালানি রূপান্তর বাড়ানোর প্রত্যয় ও আস্থার প্রতিফলন। এবারের সম্মেলন চলাকালে দেশটি কপ-২৯ জলবায়ু অর্থায়ন উদ্যোগ, বাকু বিশ্ব জলবায়ু স্বচ্ছতা প্ল্যাটফম, সবুজ জ্বালানি অঞ্চল ও করিডোর নির্মাণসহ বিভিন্ন আলোচ্যবিষয় উত্থাপন করেছে।
সম্প্রতি আরো বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান আজারবাইজানে শক্তি সঞ্চয় ও সামুদ্রিক বায়ু বিদ্যুত্সহ বিভিন্ন নতুন জ্বালানি প্রকল্প সহযোগিতার ভবিষ্যৎ অন্বেষণ করতে যাচ্ছে। এটি শুধু দেশটির জন্য অগ্রণী প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম নিয়ে আসবে, তা নয়, বরং স্থানীয় কর্মসংস্থান এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের উন্নয়ন বেগবান করার পাশাপাশি দেশটি সংশ্লিষ্ট সবুজ জ্বালানি কৌশল লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে।