বাংলা

সপ্তম সিআইআইই: চীনের অব্যাহত উন্মুক্তকরণের সুফল পাবার প্রত্যাশা বিদেশীদের

CMGPublished: 2024-11-18 11:25:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

গত ৫ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা (সিআইআইই) শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। টানা ৭ বছর ধরে, বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘বিশ্বব্যাপী কেনা, বিশ্বব্যাপী বিক্রি করা’র প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে এই মেলা। সিআইআইই’র ‘বন্ধু বৃত্ত’ ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারিত হবার সঙ্গে সঙ্গে এ প্রদর্শনী ব্যবসায়ীদের অনেক লাভবান করেছে। চীন উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ অব্যাহত রেখে বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নের সুফল ভাগাভাগি করবে বলে প্রত্যাশা করেন বিদেশীরা।

বিশ্বব্যাপী ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে, পণ্যের ভোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের বাছাই আরো বেশি হয়ে, পুরোপুরিভাবে বিশ্বায়ন সুবিধা উপভোগ করার পাশাপাশি চীন উন্মুক্তরণে অবিচল থাকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা দেখায়।

ইনস্টিটিউট অফ স্টেট অ্যান্ড ল, উজবেক একাডেমি অফ সায়েন্সেসের উর্ধ্বতন গবেষক নাজারভ বলেন, বিশ্বব্যাপী কেনা-বেচা দেশে-দেশে পণ্য, পরিষেবা ও পুঁজির অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়, যা পণ্যভোগীদের জন্য আরো ব্যাপক বাছাইয়ে সুযোগ এনে দেয়। সিআইআইই হলো সৃজনশীল পণ্য প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বেগবানের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। চীন অধিকতরভাবে বাজারের সুপ্তশক্তি মুক্তি দিয়ে, বিশ্ব প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো উন্মুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ সৃস্টি করবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

টানা সাত বার সিআইআইই’তে অংশ নেওয়া সিরিয়ার বায়োচ্যাম কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা রুলা আদিব বলেন, সিআইআইই’র ‘বিশ্বব্যাপী কেনা’ ধারণা বিশ্ব বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশে-দেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য বিশেষ সুযোগ সরবরাহ করে। চীন উচ্চমানের উন্মুক্তকরণে অবিচল থাকার ফলে চীনের বৃদ্ধি ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের প্রত্যয় বাড়ায়। সিআইআইই হলো পণ্য প্রদর্শন এবং পণ্যভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগের শ্রেষ্ঠ প্ল্যাটফর্ম। চীনা বাজার ও সিআইআইই’র প্রতি আমাদের উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে।

শাংহাই আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্সের প্রধান জেং ই জানান, চীন, মার্কিন কৃষিপণ্য রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ কাঙ্ক্ষিত স্থান। মার্কিন রপ্তানিকারকরা চীনা বাজারের ওপর উচ্চ গুরুত্ব দেন এবং বিশ্বাস করেন, দু’দেশের সহযোগিতার জন্য তারা আরো বেশি অবদান রাখবেন।

চলতি বছর নরওয়ে প্রথমবারের মতো সিআইআইই’তে জাতীয় প্যাভিলিয়ন স্থাপন করে। দেশটির বোতলজাত পানীয় জল ব্র্যান্ড ভসের চীনা প্রেসিডেন্ট হুয়াং ইয়ুশেং বলেন, ২০১৮ সালে ব্র্যান্ডটি হুপেই-এ আনুষ্ঠানিকভাবে উত্পাদন শুরু করে। এবারের সিআইআইই’তে কোম্পানিটি বেশ কিছু টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থা ভাগাভাগি করেছে। ভবিষ্যতে অধিকতরভাবে চীনা পণ্যভোগীরা এর সুফল পাবেন।

নিকারাগুয়ার সান মার্টিন মাংস-পণ্য কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এমিলিও ক্যালডেরা বলেন, সিআইআইই শুধু বড় কোম্পানির জন্য দরজা খোলে তা নয়, বরং দেশটির মাঝারি ও ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানের জন্যও প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে। ফলে বহু প্রতিষ্ঠান চীনা বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে, উন্নয়ন সুযোগ পেতে পারে।

মিসরের রাজনৈতিক অর্থনীতি, পরিসংখ্যান ও আইন প্রণয়ন সমিতির সদস্য ওয়ালিদ জাবারা মনে করেন, সিআইআইই শুধু আমদানি করা পণ্যের মহা-প্রদর্শনী নয়, বরং উন্নয়নশীল দেশুগুলোর জন্য একটি দরজা খুলে দেয়, দেশগুলোর মধ্যে সম্মিলন ও সহযোগিতার সেতু প্রতিষ্ঠা করে। তিনি বিশ্বাস করেন, সিআইআইই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দেশের জন্য চীনে এমনকি বিশ্বের বাজারে পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ সরবরাহ করতে থাকবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দঃ কোরিয়া-চীন শহর মৈত্রী সমিতির প্রধান কওন কিসিক, চীনের উন্মুক্তকরণের দরজা আরো বড় হয়ে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে উন্নয়ন ফলাফল ভাগাভাগি করে, জয়-জয় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সুন্দর প্রতিচিত্র রচনা করার এবং নতুন যুগে সুন্দর ভবিষ্যত্ ভাগাভাগি করার প্রত্যাশা করেন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn