আজকাল দশ মিনিটে ডেলিভারি প্যাকেজের পরিমাণ ১৯৪৯ সালের পুরো বছরের সমান
যোগাযোগ নেটওয়ার্কের বিকাশের সাথে, মানুষের মধ্যে চিঠিপত্রের আদান-প্রদান অনেক কমে গেছে। একটি দ্রুতগতির জীবনধারা হয়ে উঠেছে। ‘অনলাইনে অর্ডার করুন এবং এটি আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে’—এমন নতুন পদ্ধতি গঠিত হয়। বিশেষ করে নতুন যুগের পর থেকে চীনে এক্সপ্রেস ডেলিভারি পরিমাণ ২০১৩ সালের ৯২০ কোটি আইটেম থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে, ১৩ হাজার ২০০ কোটি আইটেমে দাঁড়িয়েছে, যা ১৩ গুণ বেড়ে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে।
৮ লাখ ৭০ হাজার ডাক কর্মী এবং ৪৫ লাখ এক্সপ্রেস ডেলিভারি কর্মচারী প্রতিটি প্যাকেজ সময়মতো পৌঁছানো নিশ্চিত করতে দিনরাত রাস্তায় রয়েছেন। কোল্ড চেইন পরিবহন, বুদ্ধিমান বাছাই এবং ড্রোন ডেলিভারির মতো উচ্চ-প্রযুক্তির পরিবহন সরঞ্জামগুলোর ব্যবহারে কৃষি পণ্যগুলো শহুরে বাজারে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। যে প্যাকেজগুলো একবার বিতরণ করতে দশ দিনের বেশি সময় লাগতো, সেগুলো এখন মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। ‘ধীরগতির গাড়ি এবং ঘোড়া’র যুগটি এখন অতীতের জিনিস হয়ে উঠেছে। পরিবর্তে দক্ষতা, সুবিধা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার একটি নতুন যুগ প্রতিস্থাপিত হয়েছে, যা সকল মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আদর্শ হয়ে উঠেছে।
আজ যখন আমরা সেই সবুজ মেলবক্স’র কথা ভাবি, যেগুলো একসময় অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে ভাবা হয়েছিল, তারা এখনও তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে এবং এখনও সারা দেশে প্রায় ১ লাখের বেশি মেইলবক্স রয়েছে, যা অতীত এবং বর্তমানকে সংযুক্ত করে এবং স্মৃতি এবং আবেগ বহন করে, সে সব দীর্ঘ সময়ের জন্য তরতাজা থাকবে।