কাঠুরিয়া থেকে বন রক্ষাকারী: ৮৪ বছর বয়সী বৃদ্ধের গল্প
লি’র বনে প্রায় ২০০ হেক্টর সিডার, পাইন ও মিষ্টি ওসমানথাস গাছ আছে। প্রায় ১৩৩ হেক্টর ক্যামেলিয়া গাছ এবং প্রায় ৬৬.৭ হেক্টর গার্ডেনিয়া গাছ আছে।
এই প্রাণবন্ত জমি, অতীতের সেই অনুর্বর জমির সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। লি বলেন,
"আমি ১৮ বছর বয়সে কাঠুরিয়া হিসেবে কাজ শুরু করি। সেই সময়ে, কিছু নির্দিষ্ট কাজ ছিল এবং আমাকে প্রতিদিন ১৪ বা ১৫টি গাছ কাটতে হয়েছিল। আমি ২২ বছর ধরে এটি করেছি।"
তার সাত সন্তান লালনের আর্থিক চাপ তাকে বনায়ন খামার থেকে পদত্যাগ করতে এবং একটি সফল কাঠের ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য তার কাঠের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে বাধ্য করে। যাই হোক, ১৯৯০ এর দশকের শেষ দিকে, লি কাঠের সরবরাহ কমতে দেখেন। সিছুয়ান জুড়ে তার ভ্রমণে ব্যাপক হারে বনভূমি অদৃশ্য হওয়া এবং অত্যধিক গাছ কাটার কারণে উদ্বেগজনক পরিবেশগত ক্ষতি তাঁর চোখে পড়ে।
এই উপলব্ধি তার দৃষ্টিভঙ্গিতে গভীর পরিবর্তন আনে।
১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা তার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছিল। ইয়াংজি নদীর উপরিভাগে বন উজাড় এবং বিপর্যয়ের মাত্রার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, তা বুঝতে পেরে লি এমন সমস্যায় তার আগের কাজের ক্ষতির জন্য গভীর অপরাধবোধ অনুভব করেন। তিনি মনে করেন, একটি অনুর্বর পাহাড় ঠিকা নিতে হবে এবং বনায়নের কাজ করতে হবে, যা পরিবেশ পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।
লি বলেন, "১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা সারা দেশে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্ট করেছিল। তখন থেকে আমি এই পাহাড় ঠিকা করি এবং বৃক্ষরোপণ করতে শুরু করি। এটি কৃষকদের পুরানো কথার মতো, 'আমি আপনার টাকা ধার করি, তাই আমি আপনার ঋণ পরিশোধ করি।' আমি কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলেছি এবং এখন আমি সেগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে চাই।"
রুং জেলার উত্তরাঞ্চলের ২০০ হেক্টর অনুর্বর পাহাড়ের ঠিকা করতে শুরুর দিকে পরিবারের শক্তিশালী বিরোধিতার মুখে পড়েন লি। তারা এ বয়সে এ ধরনের উদ্যোগের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।