লাঙ্গল থেকে ড্রোন: বেইদাহুয়াং-এর গল্প
১৯৫০-এর দশকে নরম লাঙল চালানোর হাত থেকে শুরু করে ১৯৭০-এর দশকে ব্যাপকভাবে গৃহীত অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, এখন ড্রোন এবং স্যাটেলাইট নেভিগেশনের নেতৃত্বে বুদ্ধিমান সরঞ্জামের যুগে প্রবেশ করেছে। যা চীনের হেইলংচিয়াং প্রদেশের বেইদাহুয়াংকে একটি আধুনিক কৃষি উন্নয়নের দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। অর্ধ শতাব্দী ধরে প্রজন্মের পরিশ্রম এবং উত্সর্গের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে এমন অসাধারণ সাফল্য সম্ভব হয়েছে। আজ আপনাদের বেইদাহুয়াং-এর গল্প শেয়ার করছি।
মূলত উত্তর হেইলংচিয়াং প্রদেশের সানচিয়াং সমভূমি, হেইলংচিয়াং সমভূমি এবং নেনচিয়াং নদীর অববাহিকা জুড়ে জনশূন্য বিস্তীর্ণ জমি রয়েছে। এভাবে বেইদায়াং বছরের পর বছর ধরে চীনের জন্য একটি শস্য গুদামে রূপান্তরিত হয়েছে।
১৯৫৮ সালে, হাজার হাজার দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ তরুণ স্বপ্নদর্শীদের একটি অগ্রগামী দল তাদের জন্মভূমি ছেড়ে দুর্গম, অদম্য বেইদাহুয়াংয়ের জমিতে এসেছেন, একে শস্যের দুর্গে রূপান্তর করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা। অটল সংকল্প এবং নিরলস শ্রমের মাধ্যমে এই সাহসী মানুষগুলো এক বছরের মধ্যে তাদের প্রথম ফসল কাটেন।
কু ছিং লৌ ছিলেন প্রথম প্রজন্মের একজন মানুষ। তিনি বেইদাহুয়াংয়ে তার যৌবন উত্সর্গ করেছিলেন। তিনি বলেন, "১৯৫৮ সালে, আমরা আসার প্রথম বছরে আমাদের শ্রমের ফল অর্জন করেছিলাম। আমরা যে আনন্দ অনুভব করেছি তা অতুলনীয় ছিল। কারণ, সেই শস্যগুলো আমাদের নিজেদের হাতে বপন করা হয়েছিল।"
১৯৫৮ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে, লাঙ্গল ও ট্রাক্টর দিয়ে সজ্জিত, এই সাহসী অগ্রগামীরা ২১.৩৩ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি পুনরুদ্ধার করেছিলেন এবং ১৪১টি খামার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁরা তাদের যুগের একটি বিস্ময় তৈরি করেছিলেন এবং মানব ইতিহাসে একটি স্থায়ী অধ্যায় রচনা করেছিলেন।