ছোট নাশপাতি গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের সোনার শক্তিতে পরিণত হয়েছে
ছিউ ইউয়ে নাশপাতি রোপনের সময়, গ্রামবাসীদের ‘অনঢ়’ চিন্তাভাবনা সমস্যাও সমাধান করতে হবে কাও ফেই হু’কে।
ছিউ ইউয়ে নাশপাতি চারাগুলো রোপণ থেকে ফল ধরতে ৩ থেকে ৫ বছর লাগে এবং প্রক্রিয়াজাতের সময় বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ করা দরকার। কাও ফেই হু আরও জানতে পেরেছেন, কিছু গ্রামবাসী ছিউ ইউয়ে নাশপাতি চারাগুলোর পাশে উঁচু -স্ট্রস বা রাইজোম ফসল রোপণ করে, যা কেবল ছিউ ইউয়ে নাশপাতি ক্ষতের আলোকসজ্জা এবং শ্বসন ব্যবস্থাকেই প্রভাবিত করে না, বরং নাশপাতি গাছের মূল ব্যবস্থাকেও ক্ষতি করতে পারে।
গ্রামবাসীদের ধারণা বদলাতে কাও ফেই হু নানা চেষ্টা করেছেন। তিনি প্রথমে নতুন প্রযুক্তি শিখতে ইচ্ছুক এমন একদল শীর্ষস্থানীয় কৃষককে চাষের দিকে মনোনিবেশ করিয়েছেন। ইউয়ান তু গ্রামের ওয়েং ওয়ান থাং তাঁদের মধ্যে একজন। তার সযত্ন প্রচেষ্টার কারণে ১.২ হেক্টরে ২০ হাজার কেজি ছিউ ইউয়ে নাশপাতি উত্পাদিত হয়। যার মূল্য ৪ লাখ ইউয়ানের বেশি।
ওয়েং ওয়ান থাং’র সাফল্য তার চারপাশের গ্রামবাসীদের অনুপ্রাণিত করেছে। সবাই তার পদ্ধতির অনুকরণ করতে শুরু করেন। এখন পর্যন্ত নয়টি জেলা-থানা ১ হাজার ২০০ পরিববারের গ্রামবাসী ছিউ ইউয়ে নাশপাতি রোপণে যোগদান করেছেন। যার ফলে ছিউ ইউয়ে নাশপাতি রোপণের আয়তন ৪০০ হেক্টর ছাড়িয়েছে।
চিন পিং জেলার লিয়ান শান গ্রামের অধিবাসী শি ওয়ান ইয়ৌ’র বয়স ৫৯ বছর। তিনি এ গ্রামের প্রথম মানুষ, যিনি সবপ্রর্থমে কাও ফেই হু’র কাছ থেকে শিখতে শুরু করেন। এই বছর তার ০.৮ হেক্টর আয়তনে ছিউ ইউয়ে নাশপাতির গাছের অর্ধেকে ফল ধরেছে।
তিনি বলেন, “এই বছরের ছিউ ইউয়ে নাশপাতি’র উত্পাদনের পরিমাণ ৫ হাজার কেজি ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে, বর্তমানে বাজারে ছিউ ইউয়ে নাশপাতির দাম প্রতি কেজি ১২ থেকে ৩০ ইউয়ান। উচ্চমানের নাশপাতি এমন কী ৪০ ইউয়ান পর্যন্ত হয়। যদি সবকিছু সুচারুভাবে চলে এবং আমরা সকলেই উচ্চ ফলন অর্জন করি, তাহলে বিক্রির পরিমাণ দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে।”