বাংলা

প্রকৃতি সংরক্ষণ এলাকার কর্মী সিয়াও ফেই-এর গল্প

CMGPublished: 2024-08-30 18:57:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বন্যপ্রাণীর মধ্যে বসবাসের মোহ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের একটি প্রকৃতি সংরক্ষণ এলাকার একজন রেঞ্জার প্রাণীদের সুরক্ষা এবং তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।

এই রেঞ্জারের নাম সিয়াও ফেই। তিনি হলেন চীনের থাংচিয়ানহ্য জাতীয় প্রকৃতি সংরক্ষণ এলাকার একজন নিবেদিত কর্মী, যা চীনের চিয়া লিং নদীর তীরে অবস্থিত, চিয়া লিং নদী চীনের ইয়াংজি নদীর একটি উপনদী, এই এলাকাটি ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সেরা-সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে একটি।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর, সিয়াও ফেই ব্যস্ত এবং সমৃদ্ধ শহরে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার স্বপ্নকে অনুসরণ করার জন্য এই প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এলাকায় ফিরে আসেন।

তার কাজের মধ্যে রয়েছে সংরক্ষণ এলাকায় টহল দেওয়া, এলাকার গাছপালা ও প্রাণীর গতিশীলতা সাবধানতার সাথে রেকর্ড করা। তার কাছে এই বিস্ময়কর প্রকৃতি যেন পরিবারের মতো এবং প্রকৃতির সব সদস্য ও প্রাণী রক্ষা করার জন্য তার ভূমিকা পালন করা তাকে অপরিমেয়ে আনন্দ দেয়।

সিয়াও ফেই উল্লেখ করেন যে, “যখন রেঞ্জাররা টহল মিশনে যায়, তখন তারা জিপিএস নেভিগেশন ডিভাইস, দূরবীন, ক্যামেরা এবং পথের সাথে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করার জন্য কিছু ফর্ম-সহ প্রচুর সরঞ্জাম বহন করে।”

তার কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন যে, তিনি এই বিরল গাছপালা এবং মূল্যবান প্রাণী প্রজাতিগুলোকে তার পরিবারের মতো দেখেন, তাদের উপস্থিতি ও সুস্থতা সিয়াও ফেই-এর জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে।

সিয়াও ফেই বলেন, ‘আমরা এখন ঘুঘু গাছ নামক একটি উদ্ভিদ খুঁজতে যাচ্ছি। যেটি প্রথম শ্রেণীর জাতীয় সুরক্ষার তালিকায় রয়েছে। এই মৌসুমে ঘুঘু গাছে ফুল ফোটে। ফুল দেখতে গাছে বিশ্রামরত ঘুঘুর ঝাঁকের মতো দেখায়, তাই আমরা তাদের বলি ঘুঘু গাছ।’

থাংচিয়াহ্য এর ঘন বনের গভীরে, প্রাচীন ঘুঘু গাছ আছে, এর ১ কোটি বছরের ইতিহাস আছে। তারা যেন সিয়াও ফেই-এর আগমনের জন্য শান্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এই গাছগুলো এখন পূর্ণ প্রস্ফুটিত, ফুলগুলো দেখলে মনে হয়, তাদের ডানা প্রসারিত করে শত শত সাদা ঘুঘু পাখি বসে আছে। তাদের মিষ্টি সুবাস উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে, একটি নির্মল ও কোমল পরিবেশ তৈরি করেছে এবং সিয়াও ফেইকে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn