চীনের আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস উত্সাহব্যঞ্জকভাবে প্রসারিত
চীন (কুয়াংচৌ) আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস মেলা (সিসিইএফ)-২০২৪ গত ১৮ আগস্টে কুয়াংচৌতে সমাপ্ত হয়েছে। জানা গেছে, মোট ৫৬ হাজার মানুষ এবারের মেলা পরিদর্শন করে, যা গত বছরের তুলনায় ১২৩ শতাংশ বেশি। চীনের রপ্তানি আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস শিল্প উত্সাহব্যঞ্জকভাবে প্রসারিত, আইকনিক কোম্পানি ও ব্র্যান্ডের ক্রমাগত উচ্চহারে ‘বিদেশে যাওয়া’ নতুন পর্যায়ের দৃঢ় ভিত্তি ও শক্তিশালী চালিকাশক্তি দেখায়।
‘বৈদেশিক বাণিজ্যের নতুন চালিকাশক্তি, ডিজিটাল নতুন ভবিষ্যৎ’ ছিল এবারের সিসিইএফ-এর প্রতিপাদ্য। ৪০ হাজার বর্গমিটারের বেশি আয়তনে ৪০টি নেতৃত্বাধীন আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্ম এবং ২০টির বেশি প্রদেশ ও শহরের সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়।
এবারের সিসিইএফে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বর্তমানে চীনের একই রকমের প্রদর্শনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, নেতৃত্বাধীন প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে বেশি মিলিত হওয়া এবং বরাদ্দও সবচেয়ে বেশি। আলিবাবা’র বুথে প্রবেশ করে দেখা যায়, এআই ব্যবসায়িক সহকারী ও এআই গ্রাহক সেবার মতো নতুন ব্যবহারিক পরিষেবা খুব আকর্ষণীয়।
“চলতি বছর বিশ্ব বাণিজ্য নতুন দফা বৃদ্ধির সময়কালে প্রবেশ করে, প্রযুক্তি-চালিকা ডেকে আনা অনলাইন প্রবণতা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। আলিবাবা’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছিউ জংবিং জানান, বৈদেশিক বাণিজ্যে এআই’র ব্যবহার দ্রুততার সাথে বাড়ে। বিশ্বে ৩০ হাজার মাঝারি ও ছোট আকারের প্রতিষ্ঠান আলিবাবা’র এআই যন্ত্র দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য করে। এআই’র সুবিন্যস্তের মধ্য দিয়ে পণ্যদ্রব্য বিদেশে প্রেরণের পরিমাণ ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া এবারের সিসিইএফ প্রদর্শনী ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে, চীনের আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস উচ্চমানের উন্নয়ন বাস্তবায়নে সহায়তা দেয়। চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য কেন্দ্রের পরিচালক ছু শিচিয়া ব্যাখ্যা করেন, এবারের সিসিইএফে প্রথমবারের মতো নতুন প্ল্যাটফর্ম অঞ্চল এবং আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস সরবরাহ চেইন লজিস্টিক স্টোরেজ এলাকা স্থাপন করা হয়। চীনা বিক্রেতা বিদেশি নতুন বাজার সম্প্রসারণ করার জন্য সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি ২০টির বেশি আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস সরবরাহ চেইন লজিস্টিক স্টোরেজ ব্যবসায়িদের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। ফলে আন্তঃসীমান্ত ই-কর্মাস ব্যবসায়ী এবং আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর আরো সঠিক ইন্টিগ্রেশন ও উন্নয়ন বেগবান করে, আরো বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানের ‘বিদেশে যাওয়া’ বাড়ায়।