থাই-লাওস আন্তঃসীমান্ত রেলপথের প্রথম ট্রেনে যাত্রী-সেবা
২০ তারিখ ৯টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি লাওসের পিয়েন্টিয়ন খামসাবথ স্টেশনে পৌঁছায়। পৌঁছানোর পর থাই যাত্রী গব উত্তেজিতভাবে বললেন, এটি আমার প্রথমবার থাইল্যান্ড থেকে ট্রেনে করে সরাসরিভাবে পিয়েন্টিয়নে পৌঁছানো। স্লিপিং বার্থে এক রাত ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই এটি গন্তব্যে পৌঁছে যায়। খুবই সুবিধাজনক।
থাই-লাওস আন্তঃসীমান্ত রেলপথ শুধু দু’টি দেশকে সংযুক্ত করেছে তা নয়, বরং আরো বেশি মানুষের আরো দূরে নিয়ে যাবে। যেমন কোন কোন যাত্রী খামসাবথ স্টেশনে পৌঁছানোর পর গণ-পরিবহন করে চীন-লাওস রেলপথের পিয়েন্টিয়ন স্টেশনে গিয়ে চীন-লাওস রেলপথে করে উত্তর লাওস বা চীনে যেতে পারবেন। যা লাওস-থাই আন্তঃসীমান্ত রেলপথ এবং চীন-লাওস রেলপথের আন্তঃযোগাযোগ বাস্তবায়ন বলা যায়।
ব্রিটেন থেকে আসা রিচার্ডের পিয়েন্টিয়নে পৌঁছানোর পর চীন-লাওস রেলপথের পিয়েন্টিয়ন স্টেশনে গিয়ে চীন-লাওস রেলপথে লুয়াং প্রাবাং-এ যাবার পরিকল্পনা ছিল।
৩০ বছর আগে তিনি চীনে এসেছিলেন। এবার আমার সময় কম। কিন্তু আমার একটি বড় পরিকল্পনা আছে। পরবর্তীতে আমি ট্রেনে করে সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও লাওসের মাধ্যমে চীনে যাব। চীনে ফিরে যাওয়া প্রত্যাশা করি আমি। সেখানকার নতুন প্রজন্মের ট্রেনের অভিজ্ঞতা নিতে চাই। রিচার্ড তার উত্তেজনা লুকাতে না পেরে এমন কথা বললেন।