মালয়েশিয়ার জ্বালানি ক্ষেত্রের সবুজ রূপান্তরে চীনা প্রতিষ্ঠান
কুয়ালা কেটিল ফটোভোলটাইক পাওয়ার স্টেশন চীন-মালয়েশিয়া সবুজ জ্বালানি সহযোগিতার একটি নজির। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মালয়েশিয়ায় চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ করা ফটোভোলটাইক প্রকল্প বাড়ছে। নির্মাণ ক্ষেত্রে চীনা প্রতিষ্ঠানও দেশটির ফটোভোলটাইক খাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। ত্রিনা সোলার কোং লিমিটেডের মতো বেশ কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় বহু বছর বিনিয়োগ করছে এবং স্থানীয় ফটোভোলটাইক সম্পূর্ণ শিল্প চেইনের উন্নয়ন শক্তিশালী করছে।
ফটোভোলটাইক খাত ছাড়া মালয়েশিয়া হাইড্রোজেন শক্তি, জৈব-শক্তি ও কার্বনডাই-অক্সাইডের ক্যাপচার, ব্যবহার ও স্টোরেজ গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। চীনা প্রতিষ্ঠান এসব ক্ষেত্রের প্রযুক্তি দিয়ে দেশটির সঙ্গে এনার্জি স্টোরেজ পাওয়ার স্টেশন, হাইড্রোজেন উৎপাদন ও স্টোরেজ ইন্টিগ্রেশন এবং হাইড্রোজেন শক্তির স্মার্ট ট্রামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করেছে।
সবুজ পরিবহন মালয়েশিয়ার সবুজ রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। নিট শূন্য নির্গমন লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে দেশটির সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্প উন্নয়নে উত্সাহ দেয়। দ্য গ্রেট ওয়াল ও বিওয়াইডি’র মতো চীনা গাড়ি প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় এসে নতুন জ্বালানি গাড়ি মডেল ব্যবস্থাপনা করে বা স্থানীয় উত্পাদন ও সমন্বিত বন্টন করে। স্থানীয় জনগণকে বুদ্ধিমান যাত্রার অভিজ্ঞতা দেয়ার পাশাপাশি আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে।
অ্যাসোসিয়েটেড চাইনিজ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অফ মালয়েশিয়ার উচ্চতর জেনারেল লু ছেংছুয়ান বলেন, বর্তমানে আরো বেশি ব্র্যান্ডের চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি আসিয়ান দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করছে। চীনের নতুন জ্বালানি গাড়ি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট নীতি কাজে লাগিয়ে মালয়েশিয়ায় উত্পাদন ঘাঁটি ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে, দেশটির বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পের উন্নয়ন বেগবান করতে পারবে।
মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক উপমন্ত্রী লিউ জেনতোং চীনা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা দেশটির প্রযুক্তিগত উন্নতি ও সবুজ রূপান্তরে আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন।