ছোট ফলের আন্তর্জাতিক বাজার
গ্রীষ্মকাল ফলের মৌসুম। চীনারা ইচ্ছামত ডুরিয়ান, আম, লিচু এবং বেবেরি খেতে পারেন, যা আন্তঃসীমান্ত ফলের ব্যবসার বিকাশ থেকে অবিচ্ছেদ্য।
আজ আমরা এমন একজন ব্যক্তির সাথে পরিচিত হব, যিনি আন্তঃসীমান্ত ফলের ব্যবসায় ব্যস্ত। তাঁর নাম মা সিয়ান চিয়া। তিনি কুয়াং সি অঞ্চলের একজন ফল ব্যবসায়ী। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত, তিনি চীনের বাজারে ২০ হাজার টনেরও বেশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফল নিয়ে এসেছেন।
বিগত জুনের মাঝামাঝি সময়টা হল ফল বিক্রির সর্বোচ্চ মৌসুম। ফল ব্যবসায়ী মা সিয়ান চিয়া খুব সকালে বাজারে আসেন। তিনি কর্মীদের ডুরিয়ান বহন করতে এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের জন্য নির্দেশনা দেন।
মা সিয়ান চিয়া প্রতিদিন মিটিং, ফোন কল এবং উইচ্যাটের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যস্ত। সে সময় বিভিন্ন ভাষায় কথা বলেন তিনি। ফল সংগ্রহের মৌসুমে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফলে ভরপুর
ট্রাকগুলো প্রতি সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে চীনে আসে। সে সব ট্রাক মূলত কুয়াং সি বা ইউননান বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে।
দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মা সিয়ান চিয়া’র মতো ফল ব্যবসায়ীরা থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে ডুরিয়ান, আম এবং অন্যান্য ফল সংগ্রহ করে পাহাড় ও সমুদ্র অতিক্রম করে চীনে আনেন, যা জনগণের রসনাকে তৃপ্ত করেছে।
বিশ বছর আগে, মা সিয়ান চিয়া তার বাবার সাথে ব্যবসা শিখতে শুরু করেছিলেন। বছরের পর বছর ফল আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি অনুভব করেছেন যুগের উন্নয়ন ও পরিবর্তন।
ফল কারো জন্য অপেক্ষা করে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফল পাঠাতে হবে, এ হলো মূল চাবিকাঠি। দশ বছরেরও বেশি আগে, কোল্ড চেইন লজিস্টিক বিকশিত হয়নি, এবং দূর-দূরান্তের পরিবহন এবং সংরক্ষণ কঠিন ছিল। প্রথমদিকে থাইল্যান্ড থেকে ফলগুলো চীনে আনতে মা সিয়ান চিয়ার মাস খানেক সময় লাগতো।