বাংলা

পুলিশ সদস্য তু ইয়োং ফেই

CMGPublished: 2024-07-18 11:24:44
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

তু ইয়োং ফেই বলেন, লু ছুয়ান পুলিশ স্টেশন থেকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ দিয়ে ৬০ কিলোমিটার রেলপথে তল্লাশি পরিচালনা করা সহজ নয়। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে হয়তো ৬০ কিলোমিটার দূরত্ব মানে এক্সেপ্রেসওয়েতে আধা ঘন্টার গাড়িযাত্রার ব্যাপার। তবে স্টেশনের পুলিশ সদস্যদের এ দূরত্ব যেতে ৫-৬ ঘন্টা লাগে এবং সাত-আটটি নদী ও পাহাড় অতিক্রম করতে হয়। কিছু কিছু স্থানে গাড়িও যায় না বলে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। তু ইয়োং ফেই বলেন, “অনেক পথ আমরা হাঁটতে হাঁটতে আবিষ্কার করেছি। অনেক পথ ম্যাপে পাওয়া যায় না। আমরা একটার পর একটা তৈরি করেছি।”

এ রেলওয়ে তল্লাশি কাজের অন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রেলওয়ে বরাবর গ্রামগুলোতে আইন প্রয়োগ করা। তু ইয়োং ফেইয়ের গ্রামে থাকার অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে একের পর এক গ্রামের প্রতি পরিবারে আইন প্রয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনি সে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন যে, পাহাড়ি অঞ্চলে গ্রামগুলো একটি থেকে আরেকটি দূরে এবং সেখানকার আবহাওয়া খুবই শুষ্ক, যে কারণে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বেশি। তাই বিভিন্ন গ্রাম নিজেদের মতো ‘অগ্নি-প্রতিরোধ দল’ এবং ‘নিরাপত্তা কমিটি’ গড়ে তুলেছে। তারা রেলওয়ে রক্ষীদের মতো তল্লাশি চালান। তিনি আরও লক্ষ্য করেছেন যে, এ পুলিশ স্টেশনের অধীন এলাকার বেশির ভাগ নাগরিক বয়স্ক। সে সব প্রবীণদের কারণে গ্রামের কমিটি খুব পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য। পরিস্থিতি অনুযায়ী তু ইয়োং ফেই ‘অগ্নি-প্রতিরোধ দল’, ‘নিরাপত্তা কমিটি’সহ নানা বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এভাবে প্রতিটি গ্রামে তার নিরাপত্তা রক্ষী স্কুল রয়েছে এবং প্রতি স্কুলে রয়েছে নিরাপত্তা প্রচারমূলক স্টেশন। গত কয়েক বছরে তু ইয়োং ফেইয়ের পুলিশ স্টেশন অগণিত মূল্যবান তথ্যসূত্র পেয়েছে। তাতে সামষ্টিকভাবে অপরাধ প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগ সহজ হয়েছে।

বিগত দশ বছরে তু ইয়োং ফেই তার সবচেয়ে সুন্দর তারুণ্যের সময় এখানে উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ১০ বছরও তিনি আগের মতো এ জায়গাটি রক্ষার জন্য থেকে যাবেন।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn