একটি নীরব রেস্টুরেন্টে ভালোবাসার আওয়াজ
তেং রু বিন সব সময় তার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের উত্সাহিত করেন। তার কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রীড়া পছন্দ করেন। তাই তিনি বাস্কেটবল এবং টেবিল টেনিস খেলার আয়োজন করেন। কেউ কারিগরী বিদ্যা শিখতে চান। তিনি শেফদেরকে অনুরোধ জানান তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে। তাছাড়া তিনি মূক ও বধির কর্মীদের নিয়ে নার্সিং হোম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে যান, যাতে তারা অন্যদের যত্ন নিতে পারেন এবং নিজেদেরকে এমন সাহায্যকারী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
মূক ও বধির কর্মীদের দিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা খুব চ্যালেঞ্জিং— একথা উল্লেখ করেন তেং রু বিন বলেন, সাহায্যকারী একজন প্রবীণ তাদেরকে বলেছিলেন, “মূক ও বধির মানুষদের সাহায্য করতে গেলে কেবল ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়; আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, সহনশীলতা ও ধৈর্য্য থাকতে হবে। একজন সুস্থ মানুষকে দুবার দেখালে যে কাজ শিখতে পারেন, একজন মূক ও বধিরকে সেটা শেখাতে হয়তো ১০ বার দেখানো লাগে। তাই ধৈর্য্য না থাকলে শিখানো যায় না।”
গোটা চীনে বর্তমানে নিবন্ধিত মূক ও বধির মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৭৮ লাখের বেশি। শুধু সি ছুয়ান প্রদেশে রয়েছে ১৭ লাখ মূক ও বধির মানুষ। তাদের মধ্যে ভালো চাকরি করেন, এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। কমপক্ষে ৩০ শতাংশ মানুষের চাকরি অস্থিতিশীল। এ প্রসঙ্গে তেং রু বিন বলেন, এ সব মানুষের জীবিকা উন্নত করতে হলে তাদের প্রতি সমাজের আরও নজর দিতে হবে। তাদের সাহায্য করা মানে ৫ বা ৫০ ইউয়ান উপার্জন বাড়ানো নয়; সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের মূল্য উপলব্ধি করা।