বাংলা

নারী শান্তিরক্ষী তাই চেং ছিন

CMGPublished: 2024-06-27 15:14:14
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

শান্তিরক্ষীর কথা বললে অনেকের মনে হয়তো একজন পুরুষের চেহারা ভেসে উঠবে। এটা সত্য যে, বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের যত শান্তিরক্ষী কাজ করছেন, তাদের বেশিরভাগই পুরুষ। তবে, শান্তিরক্ষীদের মধ্যে অনেক নারীও আছেন। তাই চেং ছিন তাদেরই একজন।

তাই চেং ছিন পূর্ব চীনের চিয়াং সু প্রদেশের সু চৌ শহরের আর্থ-বাণিজ্যিক কারিগরি স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি সৈনিকের জীবন খুব পছন্দ করতেন। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে লেবাননে যাওয়া চীনের ২০তম শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হন তিনি। দলের সদস্য হিসেবে তিনি লেবাননে এক বছর মাইন অপসারণের কাজ করেন।

মাইন অপসারণ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ও সবসময় অনিরাপদ একটি কাজ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে। স্থানীয় পরিস্থিতি বরাবরই অস্থিতিশীল। পাশাপাশি, স্থানীয় ভৌগোলিক অবস্থাও খুব জটিল। সেখানে অনেক মাইন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাই, এ স্থানে কাজ করতে হয় অনেক সাবধানে। তবে, অনেক দুর্যোগের মুখেও, তাই চেং ছিন ও তার কমরেডরা দায়িত্ব পালন থেকে সরে যাননি।

তাই চেং ছিন বলেন, তাঁর জন্য সবচেয়ে আনন্দের কাজ হলো প্রতিদিন মিশন থেকে ফেরার পর নোটবুকে অপসারিত মাইনের সংখ্যা লিখে রাখা। অনেকগুলো মাইন অপসারণ করেছেন তাই ছেং ছিন। নিজের কাজের জন্য তিনি খুবই গর্বিত।

এ কাজ করে কী লাভ হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে তাই চেং ছিন বলেন, মাইন অপসারণের পর সংশ্লিষ্ট জমিতে স্থানীয়রা স্বাধীনভাবে পশুপালন ও চাষবাসের কাজ করতে পারেন। শান্তিরক্ষীদের কাজ তাদের জন্য স্থিতিশীলতা বয়ে এনেছে এবং শান্তিপূর্ণ ও সুখী জীবনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এটি তাঁর সবচেয়ে বড় পাওয়া।

মিশন চলাকালে চীনা শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে স্থানীয়দের ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কাজের ফাঁকে সেনারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভাববিনিময়ের জন্য নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর ফলে স্থানীয় লোকজন চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছে।

তাই চেং ছিন বলেন, তাদের আর্মব্যান্ডে যখন চীনের পতাকা দেখতে পান, তখন স্থানীয় লোকজন বলে ওঠেন, ‘আই লাভ চায়না।’ সে সময় তাই চেং ছিন অনেক গর্ব বোধ করেন; তখন নিজেদের কাজকে অনেক মূল্যবান মনে হয়।

শান্তিরক্ষা মিশনে মাইন অপসারণে চমত্কার অবদান রাখায় তাই চেং ছিনকে শান্তিপদক দিয়েছে জাতিসংঘ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাই চেং ছিন সাফল্যের সাথে এক বছরের মিশন শেষ করে দেশে ফিরে আসেন।

ছিন বলেন, তিনি সৈনিকের ভূমিকা পালন করে যাবেন এবং আরও বেশি মানুষকে শান্তিরক্ষা অভিযানের গল্প শোনাবেন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn