গভীর পাহাড়ে ছোট শিশুদের রক ব্যান্ড
২০২২ সাল থেকে, জনাব ওয়েন তার ইলেকট্রনিক কিবোর্ড এবং গিটার নিয়ে হেংইয়াং শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের মিয়াওসি স্কুলে যান, শিশুদের বিনামূল্যে সংগীত শিক্ষা দিতে এবং সংগীত জগতের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে প্রতি সপ্তাহে একটি দিন উৎসর্গ করেন।
ওয়েন বলেন, "যখন শিশুরা এই যন্ত্রগুলো দেখে, তখন তারা এত খুশি হয় যে, যেন তারা একটি মূল্যবান সম্পদ খুঁজে পেয়েছে। তারা তাদের লালন করে এবং বাদ্যযন্ত্রটি নষ্ট করার জন্য উদ্বিগ্ন হয়। তাই আমি তাদের আশ্বস্ত করে বলতে থাকি, 'চিন্তা করবে না, নির্দ্বিধায় এই যন্ত্রগুলো ব্যবহার করো। যদি তা ভেঙ্গে যায়, তবে তোমাদের দায়ী করা হবে না।'"
পঞ্চম শ্রেণীর একজন ছাত্র ইয়ান রুই সাংবাদিককে বলেন যে, সে সংগীত পছন্দ করে। কারণ যখনই সে সংগীত শোনে, তখনই তার মন একটি ফাঁকা ক্যানভাসে পরিণত হয়, এবং সে শুধু সংগীত শুনতেই ভালোবাসে।
জনাব ওয়েন শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বাদ্যযন্ত্রের দোকান চালাতে ব্যস্ত ছিলেন, কিন্তু প্রতিবার শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সের আগে, তিনি পর্যাপ্ত অনুশীলন নিশ্চিত করতে সপ্তাহে দুবার স্কুলে যান।
যদিও এ কারণে তার ব্যবসায় কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে ওয়েন শিশুদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
ওয়েন বলেন, "এটি আমার জন্য বিরাট আনন্দ ও সান্ত্বনার বিষয়। প্রতিটি ক্লাস একটি নিরাময় সেশনের মত মনে হয়, এবং আমি যখনই তাদের সাথে থাকি তখন আমি সুস্থ হয়ে উঠি। কোন মানসিক বোঝা বা চাপ থাকে না। আমার একমাত্র চিন্তার বিষয় হল, আমি আমার বিবেকের কাছে সত্য কিনা, এবং ছাত্ররা ও আমি খুশি কিনা।"
সংগীতের ক্লাসরুম থেকে আনন্দময় সুর বেরোচ্ছে, ব্যান্ডটি তাদের আসন্ন পারফরম্যান্সের জন্য অক্লান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওয়েন ব্যান্ডটিকে খেলার মাঠে যেতে দেয়, মে মাসের উজ্জ্বল রোদে একটি বহিরঙ্গন কনসার্টের মত চর্চা করে, যাতে সদস্যরা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে এবং মঞ্চভীতি দূর হয়।