অবসরপ্রাপ্ত ডক্টর থেকে ফ্যাশনাদুরস্ত ভ্লগার
সাক্ষাৎকারে আন্টি থান বরাবরই এক কথাই বলেন, ৭০ বছর বয়সের আগে তিনি কখনও ফ্যাশনের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কথা ভাবেননি।
থান হুই লান কুয়াং সি অঞ্চলের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ৪০ বছর ধরে লিউ চৌ শহরে চিকিৎসক ছিলেন। ২০০৯ সালে অবসর নেওয়ার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে একটি ক্লিনিক চালু করেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে লিউ চৌ থেকে শাংহাইয়ে গিয়ে তার ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। থান হুই লান বলেন, ছেলের ওয়্যারড্রোবে তিনি অনেক কাপড় দেখেন, যেগুলো কেউ পরে না। তিনি সে সব কাপড় পরতে শুরু করেন।
এভাবেই আন্টি থান তার ছেলের ওয়ারড্রোব থেকে বিভিন্ন কাপড় বের করে পড়েন। আগে থেকেই আন্টি থান সেজগুজে সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে থাকতে ভালোবাসতেন। তবে সে সময় তিনি শুধু ডাক্তারের কাপড় পরতে পারতেন। শাংহাইয়ে আসার পর তিনি আবার সুন্দর কাপড় পরতে শুরু করেছেন।
সাংহাইয়ে আসার প্রথম দিকে আন্টি থানের ছেলে তাকে ঘুরতে নিয়ে যেতেন এবং ছবি তুলে দিতেন। ছেলের উৎসাহে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের আকাউন্ট খোলেন। ছেলে তাঁর ছবি তোলেন এবং স্বামী সবকিছু খেয়াল রাখেন। আন্টি থান কেবল সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে নানা ভঙ্গিমায় পোজ দেন। তাঁর সুন্দর পোশাক ও নান্দনিক শৈলী অনেক নেটিজেনের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
দৈনন্দিন সাজপোশাক থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে নিয়ে যেতে পেরেছেন থান। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রমাণ করেন, জীবনের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। বয়স কোনো ব্যাপার নয়, স্বপ্ন থাকলে সুন্দর ফুল ফুটবেই।