চিত্রকর হয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ওয়াং লিউ ইয়ুন
পরিচ্ছন্নতা কর্মের পাশাপাশি ছবি আঁকার শখ পূরণ করে চলেছেন ৫৬ বছর বয়সী পরিচ্ছন্নতাকর্মী ওয়াং লিউ ইয়ুন। একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে কীভাবে তিনি চিত্রকর হয়ে উঠেছেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা সে গল্প শুনাবো
ওয়াং লিউ ইয়ুন ছবি আঁকতে শুরু করেন ৫০ বছর বয়সের পর থেকে। অল্প কয়েক বছরে তার ছবি আঁকার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি ব্রাশ দিয়ে মনের দৃশ্য চিত্রে পরিণত করেন। তার বেশ কয়েকটি চিত্রকর্ম নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বেইজিংয়ের দ্বিতীয় রিং রোডে অবস্থিত একটি অফিস ভবনের ১৫ তলায় নারীদের একটি বিশ্রামাগার আছে। খালি চোখে দেখলে সেটা খুব সাধারণ। তবে মনোযোগ দিয়ে দেখলে এ বিশ্রামাগারের একটি টুল রুমের পকেট ‘আর্ট স্টুডিও’র দৃশ্য যে কাউকে অবাক করবে। মাত্র একজন থাকা যায় এমন একটি ছোট জায়গায় রাখা হয়েছে কয়েকটি রঙিন ছবি। এটিই ওয়াং লিউ ইয়ুনের আর্ট স্টুডিও। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি এখানে এসে ছবি আঁকায় মনোনিবেশ করেন। ওয়াং লিউ ইয়ুন সবসময় তার অফিসের কাজ শুরু হওয়ার আগে এক ঘন্টার মতো ছবি আঁকেন। তারপর পরিচ্ছন্নতা কাজ শেষ করার পর আবার ছবি আঁকতে বসেন। রাত ১০টা পর্যন্ত ছবি আঁকেন তিনি।
সহকর্মীদের চোখে ওয়াং লিউ ইয়ুন একজন শিল্পীই। তিনি তেমন উঁচু নন এবং দেখতে অনেক শান্ত। মাথার পিছনে চুল গুচ্ছ করে বাঁধেন এবং কানের নিচে চুল খুব ছোট করে রাখেন। বেইজিংয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি ছবি আঁকা তার দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।
চীনের হু নান প্রদেশের সিন হুয়া শহরের এক গ্রামে জন্ম ওয়াং লিউ ইয়ুনের। মধ্যবয়সে তিনি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন। তবে সেসব চ্যালেঞ্জ তার মনকে দৃঢ় ও উন্মুক্ত করেছে।
ওয়াং লিউ ইয়ুন বলেন, “আমি সবকিছু খোলা মনে দেখি। উদাহরণ দিয়ে বলি - সবকিছু হারালেও কোনও সমস্যা বোধ করি না। আমার মনে হয়, প্রবাহমান পানির মতো সে সব আবার ফিরে আসবে।”