চীনে মরুকরণ প্রতিরোধের অবস্থা
চীন উত্তর-পূর্ব, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে তার বনায়ন কর্মসূচির স্থির অগ্রগতি হয়েছে, যা ২০২৩ সালে মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার দিকে মনোনিবেশ করেছে।
এখন পর্যন্ত, চীনের উত্তরাঞ্চলে মোট ১.২ মিলিয়ন হেক্টর বনায়ন এবং ঘাস রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালে ৬৪টি মূল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
উত্তর চীনের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাটি গলে যাওয়ায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জুনগার ব্যানারে বনায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
জুনগার বনায়ন ও তৃণভূমি ব্যুরোর প্রধান ফু কুও ছিয়াং বলেন, "গাছ ও গুল্মগুলোর সংমিশ্রণ রোপণ কার্যকর এক পদ্ধতি। কারণ মাটিতে বেড়ে ওঠা গুল্মগুলো বালি স্থাপনে ভূমিকা পালন করে, যখন লম্বা গাছগুলো প্রচুর বাতাস ও বালি প্রতিরোধে কাজ করে।"
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মরুভূমির পুনরুদ্ধার জোরদার করতে ব্যাপক আঞ্চলিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। গত বছরের শেষ নাগাদ, প্রায় ১৯,১৬৬ হেক্টর জমিতে গাছপালা লাগানো হয়েছিল।
জুনগার বনায়ন ও তৃণভূমি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক চাং বাও শেং বলেন, "এ বছর মাটির আর্দ্রতার অবস্থা চমৎকার এবং শীতকালে প্রচুর তুষারপাত হয়েছে, যা ঘাস রোপণ ও বনায়নের জন্য খুবই উপযোগী করে তুলেছে। আমরা স্থানীয় গাছ এবং ঘাসের প্রজাতি, যেমন- চাইনিজ পাইন, মঙ্গোলিয়া গাছ ও আলফালফা রোপণে মনোযোগ দিই" ।
এদিকে জুনগার বনায়ন ও তৃণভূমি ব্যুরোর প্রধান ফু কুও ছিয়াং বলেন, "জুনগারে হলুদ নদীর সাপ বাঁকের জন্য প্রকল্পটি এই বছর ২১৩৩৩ হেক্টর বনায়ন এবং ঘাস রোপণ সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করেছে। স্থানীয় অবস্থা অনুসারে, প্রায় ৬৬৬৬ হেক্টর বনায়নের জন্য উত্সর্গ করা হবে, এজন্য প্রায় সাত মিলিয়ন গাছ লাগানোর প্রয়োজন হবে। অবশিষ্ট এলাকা ঘাস রোপণের জন্য ব্যবহার করা হবে, যাতে বিনিয়োগ ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে যাবে"।