বাংলা

বাংলাদেশের এসপিএম প্রকল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু

CMGPublished: 2024-03-25 14:14:19
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সম্প্রতি চীনা প্রতিষ্ঠান নির্মিত বাংলাদেশের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং ও ডবল লাইন পাইপিং (এসপিএম) প্রকল্পে পাঠানো ডিজেল ও অপরিশোধিত তেল প্রথম দফায় দেশটির তেল শোধনাগারে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্থল ও সমুদ্রের মধ্যে সংযোগকারী অতি বৃহৎ তেল সংরক্ষণাগার ও পরিবহন প্রকল্প চালু হলো।

চীন সরকারের অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থায়ন এবং চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপি)-এর নির্মাণে প্রকল্পটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়। সম্পন্ন হওয়ার পর এবারই প্রথম ডিজেল ও অপরিশোধিত তেলের প্রথম চালান বাংলাদেশ ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পাঠানো হলো।

এর আগের মতো বড় ট্যাঙ্কারগুলো থেকে ছোট ট্যাঙ্কারগুলোতে করে তেল আনা হতো। এ পদ্ধতি বদলে গেছে। আবার এখন পরিবেশও দূষিত হবে না।

জানা গেছে, এ প্রকল্পের কারণে ১ লাখ টন ধারণক্ষমতার বড় ট্যাঙ্কারগুলোর আনলোড ও পরিবহনের সময় ১১ দিন থেকে কমে ৪৮ ঘণ্টায় দাঁড়াবে। অনুমান করা হচ্ছে, পরিবহন মূল্য হিসেবে এতে বছরে ১২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বাঁচবে।

ইস্টার্ন রিফাইনারির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শরীফ হাসনাত বলেন, প্রকল্পটি ইআরএল-এর বার্ষিক পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত করার জন্য নিরাপদ, উচ্চ-কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনের নিশ্চয়তা দেয়। এতে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বড় উন্নয়নও হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রথম দফায় কার্যকর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাস স্টোরেজ ও পরিবহন প্রকল্পটি হলো এসপিএম। এটি ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতি করবে এবং দেশটির জ্বালানি পথের ‘ধমনী’ হিসেবে কাজ করবে। একই সময়ে এ প্রকল্প নির্মাণের প্রক্রিয়ায় তৈরি হবে প্রায় ৪ হাজার কর্মসংস্থান।

প্রেমা/ফয়সল

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn