চীন এখনও আন্তর্জাতিক পুঁজির সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনিয়োগ গন্তব্য
চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয় জুং ইয়াং আর্থিক গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্বাহী প্রধান ও থিঙ্কট্যাঙ্ক ওয়াং ওয়েন সাক্ষাত্কারে বলেন, ২০২৩ সালে চীনে নতুন করে ৫০ হাজার বৈদেশিক কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে এবং চীনও বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিদেশি কোম্পানি বাড়ানো দেশের মধ্যে একটি। পাশাপাশি ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ডসহ উন্নত দেশগুলো চীনে তাদের বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও মার্কিন সরকার চীনের উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আবরোধ ব্যবস্থা আরোপ করার কারণে চীনে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মার্কিন বিনিয়োগ কমে যায়, তবে অন্য ক্ষেত্রে চীনে মার্কিন পুঁজি বিনিয়োগ কম নয়। চীন সবসময় আন্তঃসীমান্ত পুঁজির জনপ্রিয় দেশের মধ্যে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তার মানে চীন এখনও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য।
ওয়াং ওয়েন মনে করেন, বর্তমানে চীনকে নিজের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে আরও আস্থাবান হতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চীনের উন্মুক্তকরণের দরজা আরও খোলা হবে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অনেকবার উচ্চারিত এ বক্তব্য স্মরণ করেন তিনি। গেল কয়েক বছরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চীন ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। একদিকে চীন আর্থিক উন্মুক্তকরণ জোরদার করে, বিদেশি অর্থ বিনিয়োগ চীনে আরও বেশি সুবিধা ভোগ করে। অন্যদিকে চীনে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী কোম্পানি সমান অধিকার এমনকি চীনের কোম্পানির চেয়ে আরও বেশি সুবিধা উপভোগ করতে পারে। তাই চীনে বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক পুঁজি মুনাফা অর্জন করতে পারে।
ওয়াং ওয়েন বলেন, চীন সবসময় বিশ্বায়ন এগিয় নিয়ে যায়। চীন-বিদেশের বিনিময় ও অবকাঠামোর সংযুক্তি নিয়ে আরও কাজ করবে চীন এবং অভ্যন্তরীণ নীতি সমন্বয় করে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চায়।