খনিতে চীন-কাজাখ বন্ধন দৃঢ় করলো বিআরআই
২০২৩ সালে চীনের চিয়াংসি প্রদেশ এবং কাজাখস্তানের আলমা-আতার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এটি চীনের সঙ্গে মধ্য এশীয় দেশগুলোর সহযোগিতার সম্পর্কে যোগ করেছে নতুন অধ্যায়। এটি শুধু দুদেশের জনগণের মৈত্রী নয়, বরং পারস্পরিক সহযোগিতার উন্নয়নের একটি শক্তিশালী সময়কেও ইঙ্গিত করে।
আলমা-আতার ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আছে বোগুতি টাংস্টেন খনি। এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শিগগিরই শেষ হবে, উৎপাদনও শুরু হবে দ্রুত। প্রকল্পটি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ অধীনে দুদেশের সক্ষমতা সহযোগিতা কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অন্যতম। চীন ও মধ্য এশীয় দেশগুলোর হাতে হাত রেখে উন্নয়ন ও সহযোগিতার ‘সমৃদ্ধ খনি’ খননের একটি উঁচুদরের প্লাটফর্মও এটি।
জানা গেছে, বোগুতি টাংস্টেন খনিতে টাংস্টেনের আকরিক মজুত আছে প্রায় ১২ কোটি টন; বছরে উত্তোলন করা যাবে ৩৩ লাখ টন। উৎপাদন শুরুর দুই বছর পর সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কৌশল ব্যবহৃত হলে বার্ষিক উৎপাদন ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টনে পৌঁছাবে।
স্থানীয় অর্থনীতির পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও কল্যাণ বয়ে আনবে এ প্রকল্প। তাই এটি দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক। প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলক ধাপেই কম্পানি ৩শ’ স্থানীয় কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকও আছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্পে নতুন নিয়োগ করা কর্মীরা চীনের ছিয়াং সি এসে মাসব্যাপী ইন্টার্নশিপ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ভূতত্ত্ব বিষয়ের ইন্টার্ন আল্লাদাক বলেন, ‘খনিটা হলো একটি পার্কের মতো।’ তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে আরও তামার খনি কম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে, খনি সংক্রান্ত প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নেবেন। ইন্টার্নদের সবাই এ প্রশিক্ষণের উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থা, উন্নত সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির প্রশংসা করেছেন। তারা আরও প্রাযুক্তিক জ্ঞান বিনিময় সুযোগের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।