‘৩৮২০’ কৌশল কী?
চাও বলেন, "সরকার কর্তৃপক্ষ জনগণের মতামত চাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত আন্তরিকতা দেখিয়েছে, এবং অনেক নাগরিক এই প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। জনগণকে তাদের নিজস্ব শহর নির্মাণে অংশ নেওয়া উচিত, তাই ফুচৌ-এর উন্নয়নে আমরা অংশ নিতে পেরে আমি ভীষণ গর্বিত হয়েছি।”
অর্ধেক বছরে দশটি খসড়া সংশোধনের পর, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে ফুচৌ সরকারের ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে "ফুচৌ শহরের ৩০-বছরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি" পর্যালোচনা এবং অনুমোদন করা হয়েছিল।
এই পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল ফুচিয়ানের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা এবং ১৯৯০ সালের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তিন বছরের মধ্যে প্রধান সূচকগুলো দ্বিগুণ করা, বিশেষ করে ১৯৯৫ সালের মধ্যে। এতে অন্যান্য মূল সূচকগুলোর সাথে শহর ও গ্রামীণ উভয় এলাকার মাথাপিছু মানও উন্নত করার লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০০০ সাল নাগাদ আট বছরের মধ্যে দেশের নেতৃস্থানীয় শহরগুলো উন্নয়নের পর্যায়ে পৌঁছাবে। এটি ২০ বছরের মধ্যে এশিয়ার মাঝারি মানের উন্নত দেশ বা অঞ্চলগুলোর গড় উন্নয়ন স্তরে পৌঁছানোর বা কাছাকাছি আসতে চেয়েছিল।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় প্রেক্ষাপটকে জুড়ে একটি দৃষ্টিভঙ্গি-সহ, "৩৮২০" কৌশলগত প্রকল্পটি ফুচৌ-এর উন্নয়নের গতিপথ এবং এই পরিকল্পনাকে আরও প্রসারিত করার জন্য নির্ধারণ করেছে।
তত্কালীন ফুচৌ সরকারের কার্যালয়ের পরিচালক ছেন লুন বলেন, "তার মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি হল একটি সমন্বিত উন্নয়ন সাধন করা যা নদী ও সমুদ্রের সুষম উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে। একদিকে মিনজিয়াং নদীর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে একটি 'সোনালি অর্থনৈতিক ব-দ্বীপ' প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যদিকে, সামুদ্রিক অর্থনীতি বিকাশের জন্য সমুদ্রের দিকে প্রসারিত হয়।”
ফুচৌ এর বিশাল সমুদ্রাঞ্চল এলাকা ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার হলেও এর স্থলভাগের সমান, সমুদ্র অর্থনীতির ধারণাটি সেই সময়ে স্থানীয় কর্মকর্তা এবং নাগরিকদের কাছে তুলনামূলকভাবে অপরিচিত ছিল।