নাইজেরিয়ানদের ছুটির দিনে ভ্রমণের সুবিধা দিচ্ছে নতুন রেলপথ
নব্বই বছর বয়সী যাত্রী মাকানিওলা আজিজ আবেকুটায় তার নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ফের মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বলেন, “যখন আমি ছোট ছিলাম, আমি আবেকুটাতে স্কুলে যেতাম এবং আমার বাবা-মা লাগোসে থাকতেন। রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ ছিল। এখন আমি ট্রেনে করে আবেকুটায় যাই। চমত্কার অভিজ্ঞতা। আমি আমার বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।”
অ্যাবিওকুটার ব্যবসায়ী মাইকেল এগবো ট্রেনের সুবিধা ও নিরাপত্তার প্রশংসা করেন। তাঁর মতে রেলপথ পর্যটন শিল্প ও বাণিজ্য বেগবান করবে।
অতীতে তিনি অনেকবার পরিবারের সদস্যের সঙ্গে গাড়িতে করে প্রতিবেশী পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোতে গেছেন। তাঁর গাড়ি একবার একটি নির্জন জায়গায় আটকে যায়। তিনি বলেন, “আপনি কল্পনা করতে পারেন, গভীর রাতে একটি পরিবার গভীর জঙ্গলে আটকা পড়েছে, যেখানে কোনও টেলিফোন নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সংকেত নেই!”
তিনি বলেন, সে অভিজ্ঞতার পর পরিবারের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এখন তিনি ট্রেনে করে ছুটি কাটাতে যান। “আমি কিছুদিন ধরে ট্রেনকে পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছি। ট্রেন যাত্রা অনেক সুবিধাজনক ও নিরাপদ।
চীনের কোম্পানি-নির্মিত নাইজেরিয়ার রেলপথ প্রকল্প অব্যাহতভাবে আফ্রিকার উন্নয়নে প্রাণশক্তি যোগাচ্ছে। ভবিষ্যতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন-নাইজেরিয়ার যৌথ নির্মাণ আরও বেগবান হবে।