শীতকালেও চাষ নিয়ে ব্যস্ত চীনের অন্তর্মঙ্গোলিয়ার কৃষকরা
এই শীতকালে হ্য থাও সমতলে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সকাল নয়টার দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনের অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ‘পা ইয়ান নাও এর’ শহরের লিয়ান ফেং গ্রামের বাসিন্দা লি চুন নিজের গ্রিনহাউসে এসেছেন। তিনি যন্ত্র চালু করে গ্রিনহাউস ঢাকা কম্বল সরিয়ে দিয়েছেন। লি চুন বলেন, “প্রতিদিন যখন তাপমাত্রা খানিকটা বাড়ে, তখন আমরা দ্রুত কম্বল সরিয়ে নিই, যাতে পর্যাপ্ত সুর্যালোক গ্রিনহাউসে প্রবেশ করে এখানকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।”
লি চুনের সঙ্গে যখন আমাদের সাংবাদিক গ্রিনহাউসে প্রবেশ করেন, তখন উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাসের প্রবাহ অনুভব করেন। সেখানে ঝুলে থাকা সব শসা খুব সতেজ দেখায়। শাক-সবজির গন্ধ ভেসে আসে। গাছ সাজানো, ফসল তোলা এবং প্যাকেজিং করা নিয়ে খুব ব্যস্ত রয়েছেন লি চুন ও তার স্ত্রী ইয়াং সুয়েন। লি চু বলেন, “এবার পুরোটা শসা চাষ করেছি। প্রতিদিন ২০০ কেজিরও বেশি শসা উত্পাদিত হয়। আগে শীতকালে বেশিরভাগ সময় গ্রিনহাউজ ফাঁকা থাকতো এবং কোনো উপার্জন হতো না। এখন সে অবস্থা আর নেই। খুব ব্যস্ত থাকি। পরিশ্রম করতে হয়। তবে উপার্জন অনেক বেড়েছে। একটি গ্রিনহাউসে চারা লালন এবং শাকসবজি চাষ থেকে ১ লাখ ইউয়ান উপার্জন করতে পারছি। আমার এমন ৫টি গ্রিনহাউস রয়েছে। উপার্জন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিশ্রম করতে উত্সাহিত হয়েছি।”
জানা গেছে, গ্রিনহাউসে চাষবাস সমর্থন করতে উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে সরকার সব সময় লি চুনকে সহায়তা দেয়। তাকে চাষের অভিজ্ঞতা দেয় এবং যখন শীত পড়ে, তখন আগেভাগেই সতর্ক করে দেয় সরকার, যাতে চাষীরা যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তুতি নিতে পারেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি’র লিয়ান ফেং গ্রাম কমিটির সম্পাদক ছাই জেন ছিং জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিয়ান ফেং গ্রাম কাঠামোগত কৃষি উন্নয়ন জোরদার করছে। বর্তমানে গ্রামটিতে ৬৮০টি গ্রিনহাউস গড়ে উঠেছে। এসব গ্রিনহাউস কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে ভালো সহায়ক হয়েছে।