রোববারের আলাপন: ঐতিহ্যবাহী ‘লা পা’ দিবস
আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, আশা করি আপনারা ভালো আছেন। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ।
আকাশ: ভাই, আগামী ১৮ জানুয়ারি ‘লা পা’ চৌ তথা ‘লা পা’ জাউ ভাত খেতে হবে, মনে থাকবে, কেমন?
তৌহিদ: মানে? আমি বুঝলাম না ভাই।
আকাশ: বন্ধুরা, ১৮ জানুয়ারি হচ্ছে চীনের ‘লা পা’ দিবস। সেদিন দু’টি মজার প্রথা পালিত হয় চীনে।
তৌহিদ: এই প্রথা সম্পর্কে আমাদেরকে বলেন।
আকাশ: বন্ধুরা, প্রতি বছর চীনের চন্দ্র পঞ্জিকার দ্বাদশ মাসের অষ্টম দিন হলো ‘লা পা’ দিবস। ওই দিবসে ‘লা পা’ জাউ খেতে হয়। ওই দিন চীনারা ‘লা পা’ নামক এক ধরনের জাউ খেয়ে থাকে।
তৌহিদ: এ জাউ আসলে কেমন? কিভাবে তৈরি করা হয়?
আকাশ: এই জাউ বিভিন্ন চালের সঙ্গে বিভিন্ন বাদাম, বিন ও ফলমূল মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
তৌহিদ: তাই? তাহলে নিশ্চয়ই খেতে চাই! অনেক মজাদার হবে।
আকাশ: ভাই, চীনের ‘লা পা জাউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের কোন জাউ বা খাবারের মিল আছে?
তৌহিদ:.. বাংলাদেশ কিংবা পশ্চিমবঙ্গে জাউ খাওয়ার প্রচলন আছে। বাংলাদেশে সাধারণত জাউ তৈরি করা হয় পোলাও চাল দিয়ে। তাতে লবন, তেজপাতা, পানি দিয়ে বানানো হয়। বাচ্চারা চিনি দিয়ে জাউ খেতে পছন্দ করে।
তৌহিদ: ভাই, তাহলে ‘লা পা’ দিবসের আরেকটি প্রথা কী?
আকাশ: ওই দিন সবাই গ্লাস বক্সে রসুন রেখে এর মধ্যে ভিনেগার ঢালে। তারপর বসন্ত উত্সবে যখন সবাই ডাম্পলিং খান, তখন ডাম্পলিং এই ভিনেগার দিয়ে খান এবং এ রসুনগুলোও এক সঙ্গে খান। এটার নাম হচ্ছে ‘লা পা গার্লিক’।
তৌহিদ: লা পা গার্লিক? তার স্বাদ কেমন?
আকাশ: ব্যাপক মজাদার এটি। টক ভিনেগার এবং গার্লিকের স্বাদ মিলিয়ে এটা অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।
বন্ধুরা, আপনারা এ খাবার বাংলাদেশেও তৈরি করতে পারেন। সুপার মার্কেট থেকে চীনের কিছু ভিনেগার কিনবেন। একটি গ্লাসের বক্স ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন, তারপর রসুনের খোসাগুলো খুলে ফেলবেন এবং রসুনের মাথার শক্ত অংশ ভালোভাবে কেটে ফেলে দিবেন। তারপর এসব রসুন একটা গ্লাস বক্সে রাখবেন এবং ভিতরে ভিনেগার দিবেন। তারপর বক্স ভালভাবে ঢেকে ফ্রিজে রাখবেন। পাঁচদিন পর ফ্রিজ থেকে বের করে খেতে পারবেন। যদি ফ্রিজে আরও বেশি দিন রাখতে পারেন, তাহলে খেতে আরও মজা পাবেন।