রোববারের আলাপন- বেইজিংয়ে দশম ‘আনন্দময় বফর ও তুষার মৌসুম’ শুরু
আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আকাশ।
বন্ধুরা, বিশ্বের ৯১.৪ শতাংশ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সম্প্রতি নেটিজেনদের ওপর পরিচালিত সিজিটিএন-এর এক জনমত জরিপ থেকে এ তথ্য উঠে আসে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯০.৩ শতাংশ মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বহুপক্ষবাদের কোনো বিকল্প নেই।
আর, ৮৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, শুধু উচ্চ গুণগত মানের টেকসই উন্নয়নের পথ সমস্যা সমাধান করতে পারে। বিভিন্ন দেশকে সবুজ ও নিম্নকার্বন রূপান্তর এগিয়ে নিতে, কার্বন নিঃসরণ কমাতে, এবং বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কাজ করতে ৮১.৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী আহ্বান জানান।
এদিকে, ৮৮.৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন সংকটের জন্য আরও বেশি দায় বহন করতে হবে। ৮২.৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এ ব্যাপারে একমত যে, বড় দেশগুলোর উচিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য আরও বেশি দায়িত্ব পালন করা।
বিশ্বের চার ভাগের এক ভাগ নতুন সবুজ অঞ্চল গড়ে উঠেছে চীনে। এই সত্য তুলে ধরে একজন নেটিজেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য চীনা সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মহান।
চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন)-এর এই জনমত জরিপে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোট ১০৫১২ জন নেটিজেন অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামোগত চুক্তির ২৮তম স্বাক্ষরকারী দেশের অধিবেশন অর্থাত্ কোপ২৮ আয়োজন করা হয়। এ অধিবেশনের চেয়ারম্যান সুলতান জাবের জানান যে, দুবাই অধিবেশনে কিছু অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে; তবে, আলোচনার গতি আরো দ্রুত করা উচিত। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন অধিবেশনে কিছু অগ্রগতি অর্জিত হলেও তা আরো দ্রুত করা উচিত। বিভিন্ন পক্ষকে সমন্বয়কারী ও নমনীয় কার্যক্রমে মতৈক্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি। সময় বেশি নেই, তাই আরো দ্রুত কার্যক্রম চালাতে হবে, আরো ন্যায়সঙ্গত ও সমতাসম্পন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন উদ্বেগ মোকাবিলা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।