বাংলা

উন্মুক্তকরণের জিন ধরে রেখে উন্মুক্তকরণ ও অভিন্ন অর্জনের লক্ষ্য চেষ্টা চালাচ্ছে কুয়াং তোংবাসী

CMGPublished: 2023-12-14 17:05:49
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চলতি বছর চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি প্রবর্তনের ৪৫তম বার্ষিকী। এ নীতি কেবল চীনাদের জীবন বদলে দেয়নি, বরং গভীরভাবে বিশ্বকেও প্রভাবিত করেছে। সামনের সারিতে থেকে এই পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছেন এমন এক ব্যক্তি হ্য থিং হোংয়ের গল্প শুনবো আজকের ‘জীবনকথা’ অনুষ্ঠানে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর হ্য থিং হোং সে সময় কুয়াং তোং প্রদেশের বৈদেশিক অর্থনীতি সহযোগিতা বিভাগে যোগ দেন। এখন সে বিভাগ নাম বদলে কুয়াং তোং প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগ হয়েছে। হ্য থিং হোং সে সময় থেকে কুয়াং তোং প্রদেশের উন্মুক্তকরণের সামনের সারির একজন কর্মী হিসাবে কাজ করছেন।

গত কয়েক বছরে আর্থ-বাণিজ্যিক খাতে কাজ করে আসছেন হ্য থিং হোং। তাই কুয়াং তোংয়ের বৈশিষ্ট্য বর্ণনার জন্য যে ‘ফ্রন্টগার্ড’ ও ‘অগ্রদূত’সহ নানা শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে, সে সবকিছুতে তিনি অভিভূত হন। উন্মুক্তকরণের প্রথম শ্রেণীতে থাকা কুয়াং তোং প্রদেশ উন্মুক্তকরণ থেকে চালিকাশক্তি অর্জন করেছে এবং এ প্রক্রিয়ায় বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নের সুযোগ শেয়ার করেছে। যুগের উন্নয়নের জোয়ারে মাথা উঁচু করে আছে কুয়াং তোং। হ্য থিং তোং বলেন, “উন্মুক্তকরণের ‘সোনার নামকার্ড হিসেবে কুয়াং তোংয়ের খ্যাতি বড় করে বলা হয়নি।”

এ প্রসঙ্গে হ্য থিং হোং নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কয়েক বছর আগে, কুয়াং তোং প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগ পরপরই জার্মানির মিউনিখ, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে তিনটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য অফিস স্থাপন করে। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকায় কুয়াং তোং প্রাদেশিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য অফিস গত ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। হ্য থিং হোং সে অফিসের প্রথম প্রধান প্রতিনিধি হন।

লস অ্যাঞ্জেলেসে যাওয়ার পর হ্য থিং হ্য লক্ষ্য করেন যে, স্থানীয় অনেক শিল্পপতি কুয়াং তোং প্রদেশ সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না। তাই যখনই তিনি ওইরকম সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কুয়াং তোং প্রদেশের বিনিয়োগ-পরিবেশ ও সুবিধা নিয়ে আলাপ করতে যান, একটি কথা বলেনই, “চীনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত কুয়াং তোং প্রদেশ। এটি হংকং ও ম্যাকাওয়-সংলগ্ন। চীনের অর্থনীতির সবচেয়ে শক্তিশালী প্রদেশ এটি।”

বহুবার বলার পর এখন এ কথার ইংরেজি ভার্সন ইতোমধ্যেই হ্য থিং হোং’র মাথায় খোদাই হয়ে গেছে, যা কোনও রকম ভাবনা ছাড়াই মুখ থেকে বের হয়। হ্য থিং হোং আরও বলেন, “দ্বিপাক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক আদান-প্রদান জোরদার করতে চাইলে শুধু কথা বললেই হয় না, বরং অনেক আর্থ-বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছি আমরা।”

২০১৯ সালে স্থানীয় চতুর্থ ফোরামে প্রথমবারের মতো ‘অতিথি প্রদেশ’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। কুয়াং তোং প্রদেশ এ বছরের প্রধান অতিথি প্রদেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে। তাছাড়া কুয়াং তোং প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগ সহযোগী সংস্থা হিসেবে ফোরামে অংশগ্রহণ করার জন্য ৬০টিও বেশি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে নিয়ে এসেছে।

২০২০ সালে হ্য থিং হোং দেশে ফিরে আসেন। তিনি কুয়াং তোং, হংকং ও ম্যাকাও উপসাগরীয় অঞ্চলের গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন এবং উচ্চ পর্যায়ের উন্মুক্তকরণ প্রতেক্ষ্য করেছেন। গত নয় মাসে কুয়াং তোং প্রদেশে বৈদেশিক পুঁজি ব্যবহারের অঙ্ক ১ হাজার ৯২৫ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে কুয়াং তোং প্রদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের ১২৫টি দেশ ও অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিনিয়ো করেছে। সে সব পরিসংখ্যান ও উদাহরণে হ্য থিং হোং আরও আস্থাশীল হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, কুয়াং তোং প্রদেশের উন্মুক্তকরণ আরও সম্প্রসারিত হবে। সোনার কার্ড হিসেবে প্রদেশটি উন্মুক্তকরণে আরও ভূমিকা পালন করবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn