সৌদি আরবে চীনা কর্মী তেং কুওশ্যুয়ের গল্প
সৌদি আরব চীনের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। দেশটির কথা উল্লেখ করলে, মানুষ সেখানকার ‘তেল রাজ্যের’ অনন্য তেল ও গ্যাস সম্পদ, ইসলাম ধর্মের উৎসস্থান হিসাবে সুদীর্ঘ ইতিহাস এবং মরুভূমির সূর্যাস্তের মহিমার কথা ভাবেন।
যখন চীন ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনে চূড়ায় পৌঁছানো এবং ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের চেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি করে, সৌদি আরবও ইতিবাচকভাবে জ্বালানি রূপান্তর, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় অন্বেষণ করছে। চীন, সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব দেশ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জ্বালানি রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। নিম্ন-কার্বন জ্বালানি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে, ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর সৌদি স্মার্ট মিটার প্রকল্প স্বাক্ষরিত হয়। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে, ইলেক্ট্রিক পাওয়ারের নির্মাতা সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ৯টি এলাকায় ৫০ লাখ স্মার্ট মিটার এবং সাপোর্টিং হেড-এন্ড সিস্টেম ও টার্মিনাল ইউনিট স্থাপন করবে। একই সঙ্গে তারা প্রযুক্তিগত পরিষেবা, সরঞ্জামের একীকরণ, ইনস্টলেশন ও ডিবাগিং, অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণসহ সার্বিক পরিষেবা প্রদান করবে। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে চীনের বিদ্যুৎ তথ্য অধিগ্রহণ ব্যবস্থার ব্যবসা প্রথমবারের মতো বিদেশি বাজারে প্রবেশ করে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রযুক্তিবিদ হিসাবে তেং কুওশ্যুয়ে সৌদি প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হন। এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি জীবনের প্রথম সৌদি যাত্রায় যান।
সৌদির স্মার্ট মিটার প্রকল্পে তেং কুওশ্যুয়ে ও তাঁর কর্মীরা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ছিলেন। প্রায় ৩শ’ দিনের মধ্যে তাদের সব কর্তব্য সম্পন্ন করার কথা। প্রকল্পে সকল সদস্যকে “বিশেষ বাহিনী”র মতো সবসময় সময়ের সঙ্গে দৌঁড়াতে হয়।