সুন্দর বাগদাদ নির্মাণ করেছে ইবিএস প্রকল্প
ইরাকের বাগদাদের একটি তেলক্ষেত্র প্রকল্প ক্যাম্পের পাশে একটি স্লোগান আছে “ইবিএস ফর বেটার বাগদাদ” (EBS FOR BETTER BAGHDAD)। এখানে রয়েছে জেনহুয়া তেল কোম্পানি লিমিটেড, পূর্ব বাগদাদ প্রকল্প কোম্পানি এবং ইরাকের ন্যাশনাল ড্রিলিং কোম্পানির খনন করা প্রথম অনুভূমিক কূপ ইবিএসএইচ-১৮এইচ।
“চলতি বছরের ২২ মার্চ যখন ইবিএসএইচ-১৮এইচ কূপের ড্রিলিং আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হবার কথা ঘোষণা করা হয়, তখন আনন্দে আমার চোখ ভিজে যায়। তেলক্ষেত্র তুরপুন মহলের একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য আমি গর্বিত বোধ করি এবং নিজে আরও সুন্দর বাগদাদ নির্মাণে অবদান রাখতে পারার জন্য গর্বিত বোধ করি।” এমন কথা বলেন ইবিএস প্রকল্পে ড্রিলিং বিভাগের স্থানীয় নারী কর্মী গুসন।
ইবিএসএইচ-১৮এইচ হলো ইরাকি ন্যাশনাল ড্রিলিং কোম্পানির ড্রিল করা প্রথম অনুভূমিক উন্নয়ন কূপ, যা সীমিত প্রযুক্তি এবং শুধু সহজ সোজা কূপ অপারেশনের ধারণা পরিবর্তন করেছে এবং স্থানীয়ভাবে বিরাট আবেদন সৃষ্টি করেছে।
২০১৮ সালে জেনহুয়া তেল কোম্পানির ইবিএস প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এটি কোম্পানির প্রথম স্বাধীন অপারেশন প্রকল্প হওয়ার পাশাপাশি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে প্রথম আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি পরিচালিত প্রকল্প।
জটিল ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে ‘ইবিএস’কে এক সময় “রহস্যময় তেলের আধার” বলা হতো। কোনও একটি আন্তর্জাতিক প্রথম শ্রেণির তেল কোম্পানি প্রকল্পের জন্য ১০ বছর পায়ে-পায়ে অনুসরণ করেছে, কিন্তু সামগ্রিক উন্নয়নের সাহস ছিল না তাদের। এমনকি কোনও কানও বিশেষজ্ঞ সরাসরিভাবে এ তেলক্ষেত্রকে মূল্যহীন “প্রান্তিক তেলক্ষেত্র” হিসাবে বিচার করতেন।
জেনহুয়া পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান ও উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহায়তায় প্রকল্প গ্রুপ খুব শীঘ্রই অ্যাসিডাইজিং ও চাপের উদ্দীপনা ব্যবস্থা নির্ণয় করে এবং মধ্য ইরাকে সাফল্য অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিস্তারিতভাবে ইতিহাসে প্রথম বড় ধরনের অ্যাসিড প্রেসিং পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। ফলে রূপান্তর করার পর ইবি-৩৮ কূপে উৎপাদনের পরিমাণ দিনে ৪ হাজার ৯০ ব্যারেলে পৌঁছায়, যেটা ছিল ইরাকি বিশেষজ্ঞদের অনুমানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। তারপর ইবি-২ কূপে দৈনিক উৎপাদন ১০ হাজার ৬৪৮ ব্যারেলে পৌঁছায়। প্রকল্পটিতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হয়।