জাতিকে বিভক্ত করা যায় না, সভ্যতাকে ব্যাহত করা যায় না
মানবজাতির দীর্ঘ সময়ের সভ্যতায় বিভিন্ন জায়গার মানুষ এক একটি উজ্জ্বল সভ্যতা সৃষ্টি করেছে। তবে এটি স্বীকার করতে হয় যে, ইতিহাসে চীনের মতো দীর্ঘমেয়াদী ঐক্য বজায় রাখতে পেরেছে এমন বড় দেশ তেমন বেশি নয়। কেন চীনের সভ্যতা কখনও ব্যাহত হয়নি এবং তাতে উচ্চ মাত্রার ঐক্য বজায় রয়েছে?
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চীনের ন্যাশনাল আর্কাইভস অব পাবলিকেশন্স অ্যান্ড কালচারের সদরদপ্তরে এসেছি আমরা। এই স্থানটি গ্রন্থসম্পদের ডেটাবেস এবং চীনা সংস্কৃতির জিন ব্যাংক হিসাবে পরিচিত। এখানে চীনা সভ্যতার ঐক্যের অতীত ও বর্তমান খুঁজে পাই আমরা।
আমাদেরকে সাহায্য করতে এসেছেন একজন অতিথি। তিনি ফুতান বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা গবেষণালয়ের পরিচালক চাং ওয়ে ওয়ে। পাশাপাশি তিনি চীনের বিখ্যাত একজন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।
আমরা সবাই জানি, চীন এমন একটি দেশ, যেটি ঐক্যের ওপর ভীষণ গুরুত্ব দেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, চীনা সভ্যতার ঐক্য কখন শুরু হয়? এটি কি চীনের প্রথম রাজা ছিন শি হুয়াংয়ের দেশের একীকরণের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল?
অধ্যাপক চাং জানান, আসলে খ্রিস্টপূর্ব ২২১ অব্দে ছিন সি হুয়াং চীনের একীকরণ বাস্তবায়ন করেন। তাঁর সময় লিখিত ভাষা ও পরিমাপের একক একীভূত করা হয়, যা চীনা সভ্যতার ঐক্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে তারও আগে চীনে ঐক্যের চেতনা জন্ম নেয়। চীনের প্রথম একীকরণের ৪ হাজার বছর আগে থেকে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় নানা সভ্যতা দেখা যায়। যেমন ইয়াং চি নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ইয়াং শাও সভ্যতা এবং লিয়াং চু সভ্যতা, লিয়াও হ্য নদীর পাশে হুং শান সভ্যতা ইত্যাদি। ভিন্নতা থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় যে ড্রাগন ইমেজ দেখা যায়, তা বিশাল এ ভূমিতে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে বিনিময়ের প্রমাণ। তাই আমরা বলি, অনেক আগে থেকে চীনের সভ্যতায় ঐক্য বিদ্যমান।