চীনা ভাষার ভালো শিক্ষক হতে চান পাক তরুণ
স্বপ্ন নিয়ে তারা চীনে শিক্ষাযাত্রা শুরু করেছেন। সাগর পাড়ি দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে প্রাচীর ও প্রাণবন্ত চীনে এসেছেন তারা। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা তাদের একজনের গল্প শুনাবো।
সম্প্রতি চীনের বিদেশি গণমৈত্রী সমিতি ও হ্য নান প্রাদেশিক সরকারের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৩ সালের ‘আমি ও চীনা ভাষার অক্ষর’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। পাকিস্তান থেকে আসা তরুণ মুহাম্মদ আভিস এখানে সেরা সৃজনশীল পুরস্কার জিতেছেন।
আভিস ‘আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন’ মেজর নিয়ে চীনের নান খাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ছোটবেলা থেকে চীন ও চীনা ভাষার প্রতি তার আগ্রহ জন্মে। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই চীনের ইতিহাস, স্থাপনা ও চীনা ভাষার প্রতি আমার মধ্যে আগ্রহ জাগে। আমার কাজিন শাংহাইয়ে ডক্টারেট ডিগ্রি লাভের জন্য লেখাপড়া করেন। আমার আগ্রহ দেখে তিনি চীনের রীতি, সংস্কৃতি ও মুল্যবোধের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন। এ কারণে আমি সিনিয়র স্কুল শেষে করে চীনে লেখাপড়া করতে আসি। আমার মেজর চীনা ভাষার আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন।”
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো চীনে আসেন আভিস। তিনি শাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর পর্যায়ে পড়তে আসেন। প্রথম দিকে তার চীনা ভাষা খুব খারাপ ছিল। স্কুল কতৃপক্ষ ও সহপাঠীদের সহায়তায় তিনি ভাব আদান-প্রদানের বাধা দূর করতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, “শাংহাই খুব উন্নত একটি শহর। নানা বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এখানে রয়েছে। এর আগে আমি কখনও বিদেশে যাইনি। শাংহাইয়ে আসার পর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তাদের সংস্কৃতি আলাদা। তাদের সঙ্গে আমার আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন।”