ছোট থেকে বড় করা - এ গ্রামের সমৃদ্ধি অর্জনের পথ
অক্টোবরের শেষ দিকে আপনি যদি চীনের হু পেই প্রদেশের নান চাং উপজেলার তোং কোং গ্রামে আসেন, তাহলে এ গ্রামের কৃষিকেন্দ্রে সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের ঝুলন্ত তরমুজের বাগান দেখতে পাবেন। ৫০ বছর বয়সী ওয়াং ছুন লি ব্যাগ নিয়ে ফল তুলতে ব্যস্ত। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার তোলা তরমুজে স্তুপে পরিণত হয়।
এখন ঝুলন্ত তরমুজ তোলার মৌসুম। এ কৃষিকেন্দ্রে প্রতিদিন আড়াই হাজার কেজি ফল তোলা হয়। স্থানীয় ঝুলন্ত তরমুজ খাতের দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। ওয়াং ছুন লিং তার পরিবারের সব জমি ঝুলন্ত তরমুজ চাষের জন্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। গ্রামে তার মতো কৃষিকেন্দ্রে শ্রম দিচ্ছেন ৫০-৬০জন। বাড়ির কাছে একদিন শ্রম দিয়ে ১০০ ইউয়ান উপার্জন করতে পারছেন তারা।
গত সেপ্টেম্বর থেকে ফাং ছিং ঝুলন্ত তরমজু তোলা, প্রক্রিয়াকরণ ও বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। ফাং ছিং’র আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি হলেন কমিউনিস্ট পার্টির তোং কোং উপজেলার ঝুলন্ত তরমুজ শিল্প শাখার সম্পাদক।
তিনি বলেন, “ঝুলন্ত তরমুজ চাষ শুরুর পর প্রথম ৩ বছরে এ পর্যন্ত শিল্পের আকার, ব্র্যান্ড ও শিল্প চেইন সম্পূর্ণভাবে গঠিত হতে পেরেছিল না। উন্নয়নের সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছিল। স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও কৃষকেরা এমন একটি শক্তিশালী সংস্থার মাধ্যমে সেসব সম্পদ সংযুক্ত করার প্রত্যাশা করে। তাই গঠিত হয় শিল্প চেইনের সিপিসি কমিটি। উপজেলার গভর্নরকে কমিটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পৃথক পৃথক ঝুলন্ত তরমজু সমবায় ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে পণ্যের সংযোজন মূল্য বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
শিল্প চেইনের সিপিসি কমিটি বিভিন্ন সদস্য এ শিল্প উন্নয়নের জন্য নানা ধারণা প্রদান করেন। এটি যেনো মাথার মতো কাজ করছে। কমিটি সময়মতো বিভিন্ন সম্পদ প্রয়োগ করে। কৃষি প্রযুক্তিবিদ, চাষী, প্রকৌশলী, নেতৃস্থায়ী শিল্পপতি ও স্বেচ্ছাসেবক এ কমিটির দৃঢ় সমর্থক হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা শিল্প উন্নয়নের সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন।