চীন-আফ্রিকা আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলছে বিআরআই
“এবার আমি তৃতীয় বারের মতো ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষ ফোরামে অংশ নিচ্ছি। দশ বছরে আরও বেশি আফ্রিকান দেশ যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণে অংশ নিয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতামূলক ব্যবস্থার উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখেছে।” কথাগুলো বলছিলেন ক্যামেরুন থেকে আসা মধ্য আফ্রিকান যুব ফেডারেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা মেন্দু।
চলতি বছর চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। পাশাপাশি ব্যবহারিক ফলাফল, সখ্য, সরলবিশ্বাস ও আন্তরিকতার নীতি উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশ বছরে আফ্রিকান দেশগুলোর ইতিবাচক সমর্থন ও অংশগ্রহণ অর্জন করে।
শীর্ষ ফোরাম চলাকালে অনুষ্ঠিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ শিল্পপতি সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হালকা ধাতু শিল্প প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ডোনোভান অ্যান্টনি বলেন, “আমরা চীনের কাছ থেকে প্রযুক্তি ও দক্ষতা অর্জন করি। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন বেগবান করছে এবং আমাদের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে আনছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-বিষয়ক ইনস্টিটিউট-প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন আফ্রিকার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চীনের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরতর করা আফ্রিকান মহাদেশের বাণিজ্যিক কাঠামো পরিবর্তনে সহায়ক হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকা থেকে চীনের আমদানীকৃত কৃষিপণ্যের পরিমাণ বেড়ে চলেছে এবং দেশটি আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষিপণ্য গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণ উদ্যোগে চীন ইতিবাচকভাবে আফ্রিকান কৃষিপণ্য, যেমন টাটকা ফল, দক্ষিণ আফ্রিকার লাল মদ, সেনেগালের চীনাবাদাম ও ইথিওপিয়ার কফি..., চীনে পাঠানোর ‘সবুজ চ্যানেল’ প্রতিষ্ঠা করেছে। আফ্রিকার আরও বেশি বৈশিষ্ট্যময় পণ্য চীনা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।