চীনের অর্থায়নে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাংলাদেশে স্থানীয়দের উপকার করে
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছে একটি গ্রামে অবস্থিত একটি আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন প্ল্যান্ট চীনের অর্থায়নকৃত প্রকল্প যা স্থানীয় পরিবেশ এবং মানুষের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে। যা আট বছর কঠিন কাজের পর গত জুলাই মাসে শেষ হয়েছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি যুগান্তকারী অবকাঠামো প্রকল্প দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগার যা দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রকল্প।
কারখানাটি ঢাকার দক্ষিণ শহরতলির দাশেরকান্দি গ্রামে অবস্থিত, একটি ঘন নদী নেটওয়ার্কের এলাকা।
স্থানীয় এলাকায় ৩০ বছরের পুরানো জরাজীর্ণ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছিল। স্থানীয়রা ভয়ানক পানি দূষণের উদ্বেগ নিয়ে দিনযাপন করত। ঢাকার ২ কোটি জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পেয়ে থাকে।
পাগলা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের দায়িত্বশীল ব্যক্তি রাহাত শিকদার বলেন, "পাগলা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর ধারণক্ষমতা ১২০ হাজার ঘনমিটার। আপনি জানেন যে, এই প্ল্যান্টটি ৩০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই সরঞ্জাম এবং প্রধান পাইপ লাইনগুলি পুরানো।"
আট বছর আগে দাশেরকান্দি গ্রামের গাচ ও তার ভাই মাছের পুকুরের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু দূষিত পানিতে সব মাছ ও চিংড়ি মারা গেছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ২৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চিংড়ি কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হতো।
জল দূষণ দাশেরকান্দিতে জীবনকে কঠিন করে তুলেছিল, কারণ গ্রামবাসীরা জল-সম্পর্কিত পেশা থেকে বের হতে পারে নি। তারা মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৩০ ডলারের কম নিয়েই টিকে ছিল।
২০১৫ সালের গ্রীষ্মে যখন গাচ এবং তার ভাই মাছের পুকুর ব্যবসায় ব্যর্থ হয়, তখন একদল চীনা দাশেরকান্দি গ্রামে আসে।