নীরব রেস্টুরেন্টে প্রাণচাঞ্চল্য
চীনের ছেং তু শহরের উ হৌ অঞ্চলে একটি নীরব রেস্টুরেন্ট আছে। সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে এবং শাকসবজি পরিস্কার করা, খাবার প্যাকেজিং করা, ডেলিভারি দেওয়াসহ সব প্রক্রিয়া নীরবে হয় এখানে। কারণ এ রেস্টুরেন্টের অধিকাংশ কর্মী মূক ও বধির মানুষ। তাদের অনেকে এ চাকরির কারণে ছেং তু শহরকে বেছে নিয়েছেন। কেউ এখানে নিজের প্রেম খুঁজে পেয়েছেন। এ রেস্টুরেন্টের মালিকের নাম তেং রু বিন । আজ আমরা এ রেস্টুরেন্টের গল্প শুনাবো আপনাদেরকে।
রেস্টুরেন্টে বর্তমানে ১৮জন কর্মী কর্মরত। এরই মধ্যে ১৩জন মূক ও বধির মানুষ। অন্য কমিউনিটিতেও বেশ কয়েকজন মূক ও বধির কর্মী রয়েছেন। তেং রু বিন তার প্রতিষ্ঠানে মোট ৩২জন মূক ও বধির কর্মী নিয়োগ করেছেন, যা মোট কর্মীসংখ্যার ৭০ শতাংশ।
অনেকের ভাবনার বাইরে এটা যে, কীভাবে কথা না বলে রেস্টুরেন্টে সেবা দেওয়া যায়? তেং রু বিন জানান, এ সমস্যা এড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। তার রেস্টুরেন্ট মুলত টেকঅফ ফুড সরবরাহ করে থাকে। কারণ রেস্টুরেন্টে খাওয়া হলে অতিথিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, যা কর্মীদের জন্য অসুবিধাজনক হবে। তাই রেস্টুরেন্ট বর্তমানে টেকঅফ ফুডের পরিষেবা দেয়। ধোঁয়ামোছা, শাকসবজি পরিস্কার করা, খাবার প্যাকেটিং, বিতরণ করাসহ অনেক কাজ করছেন মূক ও বধির কর্মীরা।
তেং রু বিন বলেন, চাকরি না পাওয়াই মূক ও বধির কর্মীদের সবচেয়ে সমস্যা নয়। ভাবের আদানপ্রদানে অসুবিধা এবং চাকরির অনিশ্চিয়তা হলো তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই তিনি একটি চাকরি দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদেরকে কেবল উপার্জনে সাহায্য করেননি, বরং তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পেশাদার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ছেং তু শহরের বাজারে অধিকাংশ খাবার ডেলিভারিম্যান তার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।