বাংলাদেশের পরিবহন খাতের উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে বিআরআই
“আমার খুব ভাল লাগছে। অনেক সময় বেঁচে গেছে।” কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা পারভিন। তিনি জানান, আগে যেটুকু পথ যেতে তার প্রায় ৪০ মিনিট লাগতো, এখন সেখানে লাগছে মাত্র ৫ মিনিট। ঢাকাবাসীদের যাতায়াত সহজ করে দিয়েছে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে দেশটিতে চালু হওয়া প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে — ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর ঢাকার জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি। পরিবহন অবকাঠামো অপ্রতুল হবার কারণে শহরে যানজট পরিস্থিতি খুবই গুরুতর হয়ে ওঠে। সমস্যার সমাধানে সরকারের পরিকল্পনায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চীনের শানতোং হাই-স্পিড গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এসডিএইচএস) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে - বিনিয়োগ, নির্মাণ ও পরিচালনা ব্যবস্থার আওতায়। ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে মোট ব্যয় হয় ১২৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা শহরের দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে বয়ে গেছে। প্রকল্প বিভাগ ‘সমন্বয়যোগ্য চলমান গ্যান্ট্রি’ প্রযুক্তিতে এ প্রকল্পের নকশা করে। প্রযুক্তিটির পেটেন্টের জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পরিবহনের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের এই প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় ঢাকার পরিবহন পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে।
পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নের সুবিধা বেশ ভালো উপলব্ধি করেছেন বাংলাদেশের মাগুরা জেলার সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর। গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশটির বৃহত্তম রেলপথ প্রকল্প — পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রথম অংশ চালু হয়। সে রেলের বগিতে বসে শিখর আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “ট্রেনে করে পদ্ম সেতু পার হওয়া আমাদের অনেক আগের স্বপ্ন। আজকে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”